১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে বক্তব্য দেওয়ায় ইসলামি বক্তা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
মামলায় ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে এক নম্বর আসামি করা হয়। অন্যদিকে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক সাইফুল রহমানকেও আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৪ মে রাত ৯টার দিকে ইউটিউবে ফেস দ্য পিপল (Face The people) নামের একটি টকশো অনুষ্ঠানে অংশ নেন ডা. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। টক শোর আলোচনার বিষয় ছিল ‘১১৬ জন আলেম নিয়ে অভিযোগ বিশ্লেষণ’। এখানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী বলেন, “জঙ্গিবাদ কি খারাপ জিনিস ! কে বলেছে, জঙ্গিবাদ খারাপ জিনিস ! জঙ্গি বিমান ! এটা কি সন্ত্রাসী বিমান ! জঙ্গি শব্দটা এসেছে ‘জাং’ থেকে, ফারসিতে জাং বলে যুদ্ধকে–ফাইট । অতএব, ফ্রিডম ফাইটাররাও এক অর্থে জঙ্গি ।”
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে ধৃষ্টতা দেখিয়ে এই কথিত ভণ্ডপীর ধর্ম ব্যবসায়ী এনায়েতুল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা চালিয়েছেন। সেই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে তুলনা করে একদিকে জঙ্গিবাদের মদত দিয়েছেন। অন্যদিকে বীর মুক্তযোদ্ধাদের ও তাদের অবদানকে অপমান ও অপদস্থ করেছেন, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২১/২৮/২৯/৩৫ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।
উল্লেখ্য এর আগেরও এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হলেও সেই মামরা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে । ২০১৯ সালে ব্যবসায়ী কাজী ইমরুল কায়েস ফতুল্লা মডেল থানায় মাওলানা আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন । তৎকালীন সময়ে দায়েরকৃত এফআইআর (নং-ডিইও/ঢাকা/এফআইআর/নাঃগঞ্জ/৫৪৯৭/৬৯) সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকার মৃত নাছির উল্লাহ আব্বাসীর ছেলে অভিযুক্ত এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী (জৈনপুরী পীর), ওবায়েদ উল্লাহ আব্বাসী ও নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসী অবৈধ ও বেআইনিভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হাজিগঞ্জ লেভেল ক্রসিং সংলগ্ন রেললাইনের পূর্ব পাশে রেলওয়ের ভূমিতে অবৈধভাবে মাটি ভরাট করে সেমিপাকা কাঠামো নির্মাণ করে। নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও তারা অবৈধভাবে কাঠামো নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে। সরকারি রেলওয়ে সম্পত্তি দখল ও আত্মসাতের অপরাধে দণ্ডবিধি অনুযায়ী ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।









Discussion about this post