নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, অটোরিকশা, ইজিবাইক, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও হাইওয়ে মহাসড়কে সংঘবদ্ধ তেল চোর চক্রের মূলহোতাসহ ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ সময় দুটি পিকআপ উদ্ধার ও পাঁচটি চোরাই গ্যারেজের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন : সোনারগাঁওয়ের আনন্দ বাজারের মৃত আব্দুল সিল্কিক ভাণ্ডারির ছেলে কালাম ভাণ্ডারি (৩৫), কুমিল্লার তিতাসের নাগেরচরের বিপনের ছেলে রায়হান (৩০), কিশোরগঞ্জের যুগিরকান্দার মৃত কাজী মিয়ার ছেলে হাসান আহম্মেদ (৩২), সোনারগাঁওয়ের বারগাঁও এলাকার মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে ফারুক (২৭), সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুরের হিরন ভূঁইয়ার ছেলে সুমন (৩০) ও ডেমরার মজি রহমানের ছেলে মনির হোসেন (২৭)।
তাদের ১৮ মে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও ঢাকার ডেমরার বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পিবিআই জানায়, আসামিরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাক কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, অটোরিকশা, ইজিবাইক, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও হাইওয়ে মহাসড়কে সংঘবদ্ধ তেল চোর চক্রের পেশাদার অপরাধী চক্র। এ চক্রের আসামীদের গ্রেফতার করার পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে চুরি হওয়া দুটি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়; যার একটি যাত্রাবাড়ী এবং আরেকটি সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রাথমিকভাবে পিবিআইয়ের কাছে স্বীকার করে যে, তারা প্রায় তিন বছর যাবৎ অনুমানিক ১০০-১২০টির বেশি ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, ইজিবাইক এবং অটোরিকশা ছিনতাই চুরি করেছে। তদন্তকালে পিবিআই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় আরও পাঁচটি চোরাই গ্যারেজের সন্ধান পেয়েছে।
এমন ঘটনায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহাসড়ক হচ্ছে ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য । হাইওয়ের পুলিশ এই ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন অপরাধীদের মাত্রা বেড়েই চলেছে । ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না দিয়ে হাইওয়ে পুলিশ সকল পরিবহণ থেকে চাঁদাবাজির মহোৎসব চালিয়েই যাচ্ছে । সকল পরিবহণ নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়েই চলাচল করতে হয়। নইলে মামলার পর মামলা। বিশেষ করে হাইওয়ে পুলিশের কয়েকজন ইন্সপেক্টরসহ রাঘববোয়ালখ্যাত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান একেবারেই প্রকাশ্যেই হংকার দিয়ে চাঁদাবাজি করেন । ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান চাঁদাবাজিকালে কোন ধরণের রাখঢাক না করে বলেন, “আমি হাইওয়ে পুলিশের গাজিপুরের এক কর্মকর্তাকে মাসে ১০ লাখ টাকা আর হেড কোয়ার্টারের এক শীর্ষ কর্তাকে ১০ লাখ টাকা দিয়েই টিকে থাকতে হচ্ছে । এই টাকা কি আমি বাড়ি বেইচ্ছা আইন্যা দিমুৃ । টাকা দিলে চাকা ঘুরবে নাইলে ঘুরবে না। আর ছিনতাইকারীদের ঠেকাতে আমরা কারা ? থানা পুলিশ আর জেলা ডিবি পুলিশ কি ঘন্টা বাজায় ?“









Discussion about this post