নারায়ণগঞ্জের আইনশৃংখলা বাহিনী আসলে করে টা কি ? প্রায় সকল সরকারী কর্মকর্তাগণ নানা অপরাদের সাথে জড়িত। সরকারী এমন কোন সেক্টর নাই সেখানে কোন শতভাগ স্বচ্ছতার চিত্র দেখা যায় । ফলে ফুসে উঠছে সাধারণ মানুষ। র্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর নাকের ডগায় চলছে অপরাধ কার্য্যক্রম । র্যাব ও থানা পুলিশের গেইটে একেক জন একেক নামে চালাচ্ছে চাঁদাবাজি । এদেরক বলা হয় ক্যাশিয়ার । নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এবং ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ক্যাশিয়ার নূরু ভাউচারের মাধ্যমে বছরের পর বছর যাবৎ চালাচ্ছে চাঁদাবাজি। রিক্সাওয়ালাদের কাছ থেকে রেকারের নামে বিশাল চাঁদাবাজির মহোৎসব চালাচ্ছে ট্রাফিক কেউ কেউ । আর হাইওয়ে পুলিশ কি করছে তা অনুমান করাও কঠিন।
নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি ভূমি অফিসে (ঘুষ বাণিজ্য) কি পরিমাণ অপরাধ হচ্ছে তা সকলেই জানলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না । জেলা কারাগারে মিনিটে মিনিটে অবৈধ পন্থায় অর্থ অদায়ে কি পরিমাণ দূর্ণীতি হচ্ছে তা কে না জানেন ! সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা গণপূর্ত বিভাগে সেই জিকে শামীমের সহযোগিকে সালাউদ্দিনকে নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর আস্ফালন সকল ঠিকাদারদের রুটি রুজির উপর আঘাত হানলেও কেউ মুখ খোলার সাহস করেন না কেউ ।
সম্প্রতি ৭২ ঘন্টা আল্টিমেটামের পর নারায়ণগঞ্জ জেলার স্বাস্থ্য বিভাগে কতটা নির্লজ্জের মতো অভিযানের ধুয়া তুলে চাঁদাবাজির মহোৎসব চালাচ্ছে অসাধু কর্মকর্তারা, তা কি কেউ জানেন না ? নাকি নারায়ণগঞ্জের সকলেই অন্ধ ? নারায়ণগঞ্জবাসীকে এমন অন্ধ ই মনে করেন অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা ।
এমনি ভাবেই নারায়ণগঞ্জবাসীকে অন্ধ মনে করে রূপগঞ্জে শীতলক্ষা নদী থেকে অবৈধ পন্থায় মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে বালু কেটে নেয়ার মৌখিক অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ । আরেক দূর্ণীতির আখড়াখ্যাত বিআইডব্লিউটিএ এর কার্যালয়ে কি পরিমাণ দূর্ণীতি চলছে তা দূদক কর্তৃক জোড়ালো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জোড় দাবী করেছে খোদ বিআইডব্লিউটিএ এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা । তিনি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে উল্লেখিত এমন মন্তব্য করেছেন (রেকর্ড সংরক্ষিত )
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে একটি রেডিমিক্স কোম্পানি বালু উত্তোলন করেছে। বালু উত্তোলনের সময় হাতেনাতে ধরে রেডিমিক্স কোম্পানিটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকালে উপজেলার বীর প্রতীক গাজী সেতুর উত্তরপাশের মাঝিনা নদীর পার এলাকায় অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলনের ঘটনা ঘটে।
কায়েতপাড়া ভূমি অফিসের তহসিলদার আব্দুল জলিল জানান, মাঝিনা নদীরপাড় এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে করিম অ্যাসফাল্ট এন্ড রেডিমিক্স নামে একটি কোম্পানি গড়ে তোলা হয়। ওই কোম্পানির নিয়োজিত কর্মকর্তারা শীতলক্ষ্যা নদীতে ড্রেজার স্থাপন করে এবং ১৮ ইঞ্চি পাইপলাইনের মাধ্যমে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে কোম্পানিটির ক্রয়কৃত জমি ভরাট করতে থাকে।
এ সময় স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামকে অবহিত করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামে নেতৃত্বে প্রশাসন শীতলক্ষ্যা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তিনি ঘটনার সত্যতা পান। পরে প্রতিষ্ঠানটিকে নগদ ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এসময় তাৎক্ষনিক কোম্পানিটির ফ্যাক্টরি ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার গোলাম রসূল জরিমানা টাকা পরিশোধ করেন। এছাড়া অপরাধ সত্যতা স্বীকার করে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবেন না বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী, জনপ্রতিনিধি ও বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে গত ৪ দিন ধরে এই রেডিমিক্স কোম্পানিটি বড় ধরনের ড্রেজার স্থাপন করে ১৮ ইঞ্চি পাইপের মাধ্যমে প্রায় ৫ বিঘা পুকুর ভরাট করে ফেলেছে। প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বালু উত্তোলন করা হয়। কোম্পানিটিকে ১ লাখ জরিমানা করলে তো তাদের লোকসান নেই। কোম্পানিটি শীতলক্ষ্যা নদী ভরাট করে প্রায় ৪-৫ বিঘা জমি দখল করার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে করিম অ্যাসফাল্ট এন্ড রেডিমিক্স কোম্পানির ফ্যাক্টরি ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার গোলাম রসূল বলেন, আসলে বিষয়টি আমরা বুঝতে পারিনি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আমরা অন্যায় করেছি। এমন ভুল আর ভবিষ্যতে হবে না।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম বলেন, নদী রক্ষা কমিশনের কর্তৃপক্ষ সাথে নিয়ে শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী দূষণ ও দখলমুক্ত করতে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।









Discussion about this post