রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তুহিনের সীল ও সাক্ষ্যর নকল করে ভূয়া আইডি কার্ড তৈরী করার চেষ্টাকারী জালিয়াত চক্রের তিন সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার (৫ জুন) বিকেলে উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ নূসরাত জাহান এ দন্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার ভায়েলা এলাকার লোকমান হোসেনের শাহজালাল, সাওঘাট এলাকার মৃত জোগেসের ছেলে গৌরাঙ্গ ও পাশ্ববর্তী আড়াইহাজার থানার বালিয়াপাড়া এলাকার মৃত আবু সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, শাহজালাল নাম পাল্টে সরজিত চন্দ্র পাল, গৌরাঙ্গ নাম পাল্টে সুদেব চন্দ্র পাল নাম দিয়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তুহিনের সীল ও সাক্ষ্যর নকল করে জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে নির্বাচন অফিসে আসেন।
এসময় নির্বাচন অফিসার মাহবুবুর রহমানের এসকল কাগজপত্র আসল কিনা তা সন্দেহ হয়।
সন্দেহভাজন তিনজনকে বসিয়ে রেখে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তুহিনকে ফোন করলে তিনি নির্বাচন অফিসে এসে তাদের কাগজপত্র ভূয়া বলে সনাক্ত করেন। পরে তাৎক্ষনিক শাহজালাল, গৌরাঙ্গ ও শফিকল ইসলামকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জালিয়াতির অপরাধ স্বীকার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত শাহজালাল, গৌরাঙ্গকে ৩ মাস করে ও শফিকল ইসলামকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে ।
গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তুহিন বলেন, জালিয়াতি রোধে আমি বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। জালিয়াত চক্রের তিন সদস্য সীল ও সাক্ষ্যর নকল করে জালিয়াতির করার চেষ্টা চালিয়েছে। আমার চেয়ারম্যান থাকাকালীন আমার ইউনিয়নে কোন জালিয়াতি হতে দিবো না।









Discussion about this post