সিমেন্ট চুরির সাথে আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতাদের নাম উঠে আসায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সোনারগাঁ উপজেলায় । একেই সাথে সমালোচনা চলছে জোড়েশোরে। গত দুই দিন যাবৎ সর্বত্র এই বিষয়ে চলছে নানা গুঞ্জন ।
বুধবার (৮ জুন) সকালেও সোনারগাঁ থানার সামনে অনেকেই সমালোচনা করে বলেছেন, “সিমেন্ট চুরির ঘটনায় সাথে যদি সত্যি সত্যিই আওয়ামীলীগ নেতারা জড়িত থাকে তবে উচিৎ বিচার হওয়া জরুরী । আর যদি আওয়ামীলীগ নেতাদের ফাঁসাতে অপচেষ্টা চালানো হয় তার জন্যও কঠোর হস্তে ব্যবস্থা নিলেই সকল অপরাধীদের কাছে একটি ম্যাসেজ যাবে যে, অপরাধ করে কেউ রক্ষা পায় না।”
ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেস (এশিয়ান হাইওয়ে) সড়ক মেরামত ও সম্প্রসারণ কাজে ব্যবহৃত চোরাই দু’শতাধিক বস্তা প্রিমিয়ার পোর্ট ল্যান্ড সিমেন্ট উদ্ধার করেছেন তালতলা ফাঁড়ির পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জরিত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে জামপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন : সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের কলতাপাড়া গ্রামের মিয়া হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর (৪০), আওলাদ (৩৩), মীরেরটেক এলাকার নুর ইসলামের ছেলে দীন মোহাম্মদ (২৮), গুল বক্সের ছেলে সফিকুল ইসলাম (৩০), ফজলুল হকের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩০), বরিশালের হরিনাথপুর এলাকার খলিলুল রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান (৪৮)। এ ঘটনায় কোম্পানির দায়িত্বে থাকা ম্যাটারিয়ালস ম্যানেজার চায়না বাসিন্দা মিঃ উইন (৩৫) বাদি হয়ে মামলা দায়েরর পর মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতারকৃদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেস (এশিয়ান হাইওয়ে) সড়ক মেরামত ও সম্প্রসারণ কাজে ব্যবহৃত সিমেন্ট চুরি করে আসছিল একটি চক্র। গতকাল সড়ক মেরামতের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা চুরির বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শতাধিক বস্তা প্রিমিয়ার পোর্ট ল্যান্ড সিমেন্ট উদ্ধার করে।
এ সময় ওই স্থান থেকে ৬ জনকে আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা গোলজার হোসেন, সেলিম, আল আমিন, শামীম, আঃ নুরসহ আরো ২/৩ জনের একটি দল এ চক্রের সাথে জড়িত। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়।
জানা যায়, ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেস (এশিয়ান হাইওয়ে) সড়ক মেরামত ও সম্প্রসারণ কাজে ব্যবহৃত সিমেন্ট র্দীঘদিন ধরে আব্দুর নুর, গোলজার ও ডিস আলামিনের নেতৃত্বে পর্যায়ক্রমে প্রায় ২ হাজার বস্তা সিমেন্ট চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করে দেন।
সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাহ হোসেনের নেতৃত্বে এস আই মোশারফ হোসেনসহ একদল পুলিশ সদস্য পেচাইন গ্রামে আব্দুর নুরের নির্মাণাধীন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত ২৭ বস্তা সিমেন্ট উদ্ধার করা হয়। পরে মীরেরটেক বুলবুলের মার্কেট থেকে ২৩ বস্তা, মীরটেক বাজারের জাহাঙ্গীরের বসত ঘর হতে ৭০ বস্তাসহ প্রায় দু’শতাধিক চোরাই সিমেন্ট উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কোম্পানির দায়িত্বে থাকা ম্যাটারিয়ালস ম্যানেজার চায়না বাসিন্দা মিঃ উইন (৩৫) বাদি হয়ে আব্দুর নুর, গোলজার ও ডিস আলামিনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ্য করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাহ হোসেন জানান, ঢাকা-বাইপাস এ´প্রেস (এশিয়ান হাইওয়ে) সড়ক মেরামত ও সম্প্রসারণ কাজে ব্যবহৃত সিমেন্ট র্দীঘদিন ধরে চুরি করে বিক্রি করছে একটি চক্র। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং দুই শতাধিক সিমেন্ট উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলচ্ছে।









Discussion about this post