নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় ধর্ষণ মামলার আসামি ইউপি সদস্য সোহেল রানার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধর্ষণের শিকার নারী ও তার পরিবার।
মামলা করার পর দুই মাস ধরে পরিবারটির কোনো হদিস মিলছে না। ঘটনাটি ঘটেছে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের আন্দিরপাড় গ্রামে।
এলাকাবাসী জানান, সোহেল মেম্বার ও তার লোকজনের হুমকির মুখে ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ ও তার পরিবার।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের আন্দিরপাড় গ্রামে পরিবার নিয়ে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ। তিন মাস আগে মদনপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাড়ি ফেরার পথে সোহেল মেম্বারের নেতৃত্বে গৃহবধূকে রাস্তা থেকে তুলে নেয় একদল দুর্বৃত্ত। এরপর একটি পরিত্যক্ত দোকানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তাকে৷ ঘটনাটি কাউকে না জানাতে গৃহবধূকে হুমকি দেয় আসামিরা৷ কাউকে জানালে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়৷ ভয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি তখন কাউকে বলেননি গৃহবধূ। এরপর গত ১৬ এপ্রিল দলবল নিয়ে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় এলাকাবাসী ও গৃহবধূর স্বামী দেখে ফেললে সেখান থেকে চলে যায় সোহেল মেম্বার। এরপর এলাকাবাসীর সহায়তায় ১৭ এপ্রিল বন্দর থানায় সোহেল মেম্বারসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন ওই গৃহবধূ। মামলা করে আরও বিপদে পড়েন গৃহবধূ। পরে তাকে পরিবারসহ এলাকা ছাড়তে হয়।
এলাকাবাসী আরও জানান, সোহেল মেম্বারের বিরুদ্ধে বন্দর ও যাত্রাবাড়িসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। মদনপুর ইউপির ২নং ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর যাত্রাবাড়ি থানার এক মাদক মামলায় জেল খাটেন সোহেল মেম্বার। তিনি বর্তমানে সাইরা গার্ডেন ও আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন৷
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার এসআই নেওয়াজ মিয়া জানান, এ ঘটনায় রুবেল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।









Discussion about this post