খোদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, “ভাই পুলিশের চাকরী ইচ্ছে করলেই কোন কথা বলা যায় না । কোথাও যাওয়া যায় না । ওসির ইচ্ছের বাইরে কোন আসামীকে যদি থানার ভিতরে দেখি তবুও গ্রেফতার করা যায় না । প্রকাশ্যে এবং রাতের আঁধারে কত অপরাধ ঘটে । তার জন্য আগে থেকেই ওসি রুলকল ডেকে সবধান করে দেন, “ওইখানে যাবেন না, ওই কাজ করবেন না, ওমুক ওমুককে কোন অবস্থাতেই হয়রানী করা যাবে না“। – এমন অসংখ্য অপরাধ চোখের সামনে ঘটলেও কেউ টু শব্দ টি করতে পারেন না । সিদ্ধিরগঞ্জ থানা হচ্ছে অপরাধীদের আস্তানা ! নইলে আশরাফের মতো চিহ্নিত তেলচোর কি করে থানায় অবাধে আসা যাওয়া করতে পারে । আর সারারাত আশরাফ তেলচুরি করলে সেই এলাকায় কোন পুলিশকে যাওয়া নিষেধ করে দেয়া হয় । এই হলো থানার চাকরী ।
আর আপনারা যারা সাংবাদিক আছেন তারা ইচ্ছে যদি করতেন, তবে অপরাধের ফিরিস্তি লিখে শেষ করতে পারতেন না। আপনারা কেউ কিছু লিখেন না । যা আশ্চর্য লাগে ।“ এভাবেই পুলিশের ওই কর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে নিম্নের ঘটনার বর্ণনা দেন
(৫ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের আলোচনায় আরো নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন এই কর্মকর্তা)
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জমির ব্যবসার বিরোধ মিটাতে সমঝোতা বৈঠকে দুই বন্ধুর সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গ্রেফাতার হোন ওই দুই বন্ধুসহ তিনজন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি কালুহাজী রোড এলাকার বাসিন্দা ও কাস্টমসের মতিঝিল বিভাগের নৈশপ্রহরী সৈয়দ আলী (৪৮), তার বন্ধু আলেক মিয়া (৩৮) ও মো. আল-আমিন (৩২)।
পুলিশ জানায়, কাস্টমসের মতিঝিল বিভাগের নৈশপ্রহরী সৈয়দ আলী ও মো. আলেক মিয়া দীর্ঘদিন ছিলেন একে অপরের বন্ধু। উভয়ে করেছিলেন জমির ব্যবসাও। এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে শুরু হয় মনোমালিন্য-কোন্দল। সেই কোন্দল রূপ নেয় চরম শত্রুতার। এমনকি একে অপরের বিরুদ্ধে প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগও দায়ের করেন। সেই শত্রুতার সমঝোতা করতে উভয়পক্ষ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হোন। যথারীতি বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমানের কক্ষে বসে সমঝোতা বৈঠক। কিন্তু বৈঠকেও উভয়পক্ষ সমঝোতায় আসতে পারেনি। বরং থানা অভ্যন্তরেই উভয়ের মধ্যে চলে তর্কাতর্কি। এক পর্যায়ে লিপ্ত হোন হাতাহাতিতে। ফলে সিদ্ধিরগগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশেই গ্রেফতার হোন দুই বন্ধু ও এক সহযোগী।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মা (ওসি) মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, থানায় তারা সমঝোতার জন্য বসেছিল। কিন্তু থানাতেই হাতাহাতিতে লিপ্ত হওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।









Discussion about this post