পার্লামেন্টে সেদিন সিনিয়র এমপিরা বলছিলেন পদ্মা সেতু হয়েছে, চারিদিকে জয়জয়কার। সেদিন আমি বলেছি যে লোক দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছে আমরা সাড়ে তিন বছরের মাথায় সেই লোককে হত্যা করেছি এবং মোশতাকের পার্লামেন্টে যোগ দিয়েছি। পদ্মা সেতুতে ৪১টি পিলার। তবে বাংলাদেশের একটা পিলার, সেটা শেখ হাসিনা। সামনে একটা আঘাত আসবে। ওরা বসে থাকবে না। ওরা আঘাত করবে। তাই আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা আপনার আমার বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ। আওয়ামী লীগের ভাল মন্দ সব আছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করব। তিনি যেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন।
আইনজীবী সমিতি নিয়ে শামীম ওসমান বলেন, গতবার নারায়ণগঞ্জ বার ইলেকশনেও একটা কাউন্টার কমিটি দিয়েছিল। এতে আমাদের লাভ হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগের প্যানেল অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে জয়ী হয়েছিল। আগে একশ বছরে একটা মোশতাক জন্ম নিত এখন জেলায় জেলায় থানায় থানায় মোশতাক।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেখেছি আজ বিচার মানবাধিকারের কথা হয়। সেদিন শেখ হাসিনাকে ভেতরে ঢুকে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে দেয়নি। উনিশবার তাকে আঘাত করা হয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রোডাক্ট। জাহানারা ইমাম ভবন করে আমরা নারায়ণগঞ্জে যুদ্ধাপরাধীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম। সেসময় সংসদে আমাকে হুমকী দেয়া হয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম সামনে থেকে হামলা করা হবে। তবে তারা পেছন থেকে মারল। বোম বিস্ফোরণে আমার বিশজন মানুষ মারা গেল। আদালতে গিয়ে দেখি যে জবানবন্দি সেটা আমার জবানবন্দি না।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটর্নী জেনারেল অ্যাডভোকেট এ. এম. আমিনউদ্দিন, আইন ও বিচার বিভাগীয় সচিব মোঃ গোলাম সারোয়ার। জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান, বিচারক নাজমুল হক শ্যামল, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস প্রমুখ।








Discussion about this post