উৎসব পরিবহনের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক কামাল মৃধার দাবী ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে তার পরিবহনই একমাত্র বৈধ পরিবহন। এছাড়া এ পরিবহন বন্ধের জন্য যে ১১ জন আবেদন করেছেন তাদের সকলের পরিবহন অবৈধ।
২ জুন সকালে নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনালের ১১টি পরিবহন কোম্পানী ও সংগঠনের সদস্যদের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের কাছে জমা দেন। এর একদিন আগেই উৎসব পরিবহন ‘নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা’ নামে ১০ বাস চলাচলের জন্য আবেদন করেন মালিক কামাল মৃধা।
এদিকে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। এতে কামাল মৃধা দাবী করেছেন আমি নারায়ণগঞ্জের একমাত্র বৈধ পরিবহন কোম্পানী উৎসব পরিবহনের প্রোপ্রাইটর কামাল উদ্দিন মৃধা। গত ১ জুন উৎসব পরিবহনের ১০টি মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ীর স্থলে ১০ টি প্রায় নতুন গাড়ীকে সাময়িক রুট পারমিট দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদানের জন্য আপনার বরাবর আবেদন করি। আমার আবেদনের পরদিন ২ জুন ১১টি অবৈধ পরিবহনের নেতারা আপনার বরাবর ‘উৎসব পরিবহন’কে রুট পারমিট না দেয়ার জন্য আবেদন করে। ওই আবেদনে বলা হয়েছে ‘উৎসব পরিবহন’ এর রুট পারমিট নেই। কথাটি সত্য। এ কারণেই আমি রুট পারমিটের নির্দেশ প্রদানের জন্য আপনার নিকট আবেদন করেছি।
তবে আপনি জেনে অবাক হবেন, যে সকল পরিবহন কোম্পানী আমার কোম্পানীর বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে কিছু অভিযোগ তুলেছে তাদের কারোরই রুট পারমিট নাই। তারা নিজেরাই অবৈধভাবে এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবহন ব্যবসা করছে। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাই, বিগত ১৬/১০/২০১৮ ইং সাল থেকে ঢাকা মহানগরীতে নতুন করে রুট পারমিট প্রদান বন্ধ রয়েছে। আপনাকে সবিনয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা অবগত করছি। তাহলো নারায়ণগঞ্জের উল্লেখিত ১১ টি পরিবহন কোম্পানীর নেতৃবৃন্দকে সারা বছর ভুলভাল বুঝিয়ে নয়ছয় করে সরকারকে রাজস্ব দেয়ার যোগারযন্ত করে থাকে আরটিসি’র সদস্য মো: রওশন আলী সরকার ওরফে ফ্রিডম রওশন। ফ্রিডম রওশন নারায়ণগঞ্জের ওই ১১ টি পরিবহন কোমপানীর মালিকদেরকে সরকারের সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার কৌশল শিখায়। ফ্রিডম রওশন পরিবহন মালিকদেরকে বোঝায় এত টাকা খরচ করে লাভ কি। কতিপয় কর্মকর্তাকে খুশি করলেই সব সমস্যা মিটে যায়। রুট পারমিট লাগবে না। কর্মকর্তার পকেটে কিছু গুজে দিলেই বাস চলবে। ফ্রিডম রওশন এর কুটচালে পড়ে নারায়ণগঞ্জের ১১ জন পরিবহন মালিক কমপক্ষে ৪০০ বাসের বিপরীতে এ যাবত এক কোটি (১ কোটি টাকা) টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েই বাস চালাচ্ছে।
তাছাড়া আরটিসি’র মেম্বার ফ্রিডম রওশন সরকার দূর পাল্লার বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আনলিমিটেড চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত। আপনি জানেন যে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ৬৪ টি জেলায় কমবেশি ৩৫০ বাস চলাচল করে। ফ্রিডম রওশন প্রতিটি বাস থেকে বিনা রশিদে দৈনিক ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে থাকে। একদিনে এই চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। এই চাঁদার টাকা রওশন একাই ভোগ করে থাকে। কোন মালিক এই চাঁদা না দিলে তাদের বাস চলতে দেয়া হয় না। এক্ষেত্রে দূরপাল্লার বাস মালিকরা রওশন আলীর কাছে জিম্মী। কারণ সে আরটিসি’র মেম্বার।
১১টি পরিবহন কোম্পানী ও সংগঠনগুলো হলো উৎসব ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ, বন্ধু পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিটি বন্ধন পরিবহন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. জুয়েল হোসেন, হিমাচল পরিবহন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম চেঙ্গিস, নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং ঢাকা-২৫৮৪) সভাপতি মো. সামসুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস ও দূরপাল্লা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রওশন আলী সরকার, নারায়ণগঞ্জ মিনিবাস মালিক ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল ইসলাম দিদার, আল্লাহ ভরসা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাইফুরউদ্দিন পলাশ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস কেন্দ্রীয় মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, বাঁধন পরিবহনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল ও দি নিউ আনন্দ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদিন।
এমন অভিযোগের বিষয়ে রওশন সরকার নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, আমি ফ্রিডম পার্টির কানালের পরিবহনে চাকরী করেছে । ওই সময় ফ্রিডম পার্টির কামালের সাথে পরিবহন ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান । তবে কি সেলিম ওসমানসহ ওই সময় কামালের সাথে ব্যবসা করেছে সকলেই ফ্রিডম পার্টির করতেন ? সংবাদ সম্মেলন করে যা বলে হয়েছে সব মিথ্যে বলে মন্তব্য করেছেন রওশন আলী ।









Discussion about this post