পুলিশ জনগনের বন্ধু এমন দাবি করা হলেও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঘটেছে এর ব্যতিক্রম। জামিনে থাকা এক আসামী খুজঁতে গিয়ে নির্বিচারে সে এলাকার ১৬ জন নারী পুরুষদের পিটিয়ে আহত করেছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। বাদ পরেননি শিক্ষার্থীরাও। ভাংচুর করেছে বাড়িঘর।
এতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাকে গ্রেফতার করা হয় অবশেষে জামিনের কাগজ পেয়ে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
গত বুধবার (১৩ জুলাই) উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ১১ জন দারোগা আর সহকারী দারোগাসহ ২৫/৩০ জনের পুলিশের বিশাল একটি দল রণসাজে গত বুধবার সন্ধ্যায় নাওড়া আসে। এই দলটির নেতৃত্বে দেন রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক এমদাদুল হক।
তারা এলাকায় পৌছে আতংক তৈরী করার জন্য বাড়ি বাড়ি ঢুকে নারী পুরুষদের নির্বিচারে পেটাতে থাকেন। পুলিশের এই নির্যাতন থেকে বাদ পরেনি শিক্ষার্থীরাও। এতে নাওড়া গ্রামের অন্তত ১৬ নারী পুরুষ আহত হয়েছে ।
এলাকার মানুষ জানান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর ভূইয়াকে গ্রেফতার করতেই পুলিশের এই রণ সাজ। একটি মারামারি মামলাতে মিথ্যা আসামী করা হয় তাকে। সে মামলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে তিনি নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ফেরত পরোয়ানা জমা দেন রূপগঞ্জ থানায়। সেটি পুলিশ নথিভুক্ত না করেই আবারও তাকে গ্রেফতারে গিয়ে এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালায় সেখানে। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেলেও জামিনের কাগজ পেয়ে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
আলী আজগরের অভিযোগ তার বিপক্ষের লোকজনের সাথে আতাত করেই ইন্সপেক্টর এমদাদ এমন তান্ডব চালিয়েছে তার এলাকায়।
এসব ব্যাপারে ইন্সপেক্টর এমদাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লোকজনের উপড় নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি আরও জানান, ভিলেজ পলিটিক্স এর শিকার হয়েছেন তিনি।









Discussion about this post