থানা পুলিশকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে একেবারেই প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে নরাাযণগঞ্জের অসংখ্য চাঁদাবাজ ।এমন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজিকালে টহল পুলিশ প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজদের সাথে হাত মেলানোর দৃশ্য এলাকারএমন কারো চোখে পরে নাই এমন ব্যক্তি খুজে পাওয়া নো গেলেও অপরাধী আর পুলিশী হয়রানীর ভযে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না ।
এমন অসংখ্য অভিযোগের পর এবার বন্দর থানাধীন একরামপুর এলাকায় ২১ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি এলাকায় তেলের লরির ড্রাইভারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি প্রদর্শণ করে চাঁদাবাজি করার অপরাধে ৩ চাঁদাবাজকে হাতে নাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, বন্দর থানাধীন রসুলবাগ এলাকার মৃত নওয়াব মিয়ার পুত্র মোঃ সালাদ্দীন (৪৬), একরামপুর কদমরসুল কলেজ এলাকার আক্তার হোসেনের পুত্র মোঃ মুক্তার হোসেন (৪০) ও একই এলাকার মৃত মতি মিয়ার পুত্র মোঃ সোহেল রানা (৪৩)।
২২ জুলাই বিকেলে র্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক ও মিডিয়া অফিসার এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন একরামপুর আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি এলাকায় তেলের লরি নিয়ে আসা ড্রাইভারদের গুরুতর আঘাত এবং ক্ষয়ক্ষতির ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক লরিপ্রতি ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা হারে অবৈধ চাঁদা আদায় করে আসছিল। চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে গত ২০ জুলাই কদমরসূল আকিজ সিমেন্ট কোম্পানী লিমিটেডের নিজস্ব জমিতে ইলেক্ট্রিক ক্রেইন মেশিন স্থাপনের জন্য পাইলিং করে খুটি ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার, সিভিল সহকারী সহ চারজন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২১ জুলাই রাতে এ ঘটনায় আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী লিমিটেডের সিকিউরিটি সুপারভাইজার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন বাবু (৪০) ও সাগর (৩০)। তারা বন্দর বাবু বাড়ীর কবিলার মোড়ের বাসিন্দা।









Discussion about this post