আড়াইহাজার / বন্দর ( নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে শাপলা আক্তার (২২), রাবেয়া বেগম (৪২) ও মাসূদা বেগম (৪০) নামে তিন নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি উদ্ধার করা হয়েছে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের আগুয়ান্দী গ্রাম থেকে। অপরটি একই উপজেলার কালাপাহাড়িয়f ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রাম থেকে। আর মাসুদা বেগমের লাশ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া ।
অপরদিকে বন্দরে অজানা অভিমানে হোসনে আরা (৩৩) নামের এক সন্তানের জননী সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রবিবার ভোর ৪টায় নাসিক ২২নং ওয়ার্ডস্থ আমিন আবাসিক এলাকাস্থ আফজাল মিয়া ভাড়াবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে ।
আত্নহননকারী হোসনে আরা চাদপুর জেলার মতলব থানাধীণ কাশিপুর গ্রামের শফিকুল ওরফে ইউসুফ মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে সে ১ সন্তান নিয়ে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার আফজাল মিয়ার ১তলা ভাড়া বাড়িতে তার পিত্রালয়ে বসবাস করত । গত ৩ বছর পূর্বে তার স্বামীর সাথে ভিফোর্স হয়েছে বলে বলে জানা গেছে।
গত জুন মাসে পিতা-মাতার সাথে হোসনে আরা তার সন্তানকে নিয়ে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় আফজাল মিয়ার বিল্ডিংয়ের ১ তলা ভাড়া নেয়। এরপর থেকেই আরিয়ান নামে এক ছেেেলর সাথে প্রায় সময়ই মোবাইলে কথা বলত বলে তার পিতা শফিকুল মিয়া জানায়।
রবিবার ভোর ৪টায় সকলের অগোচরে হোসনে আরা তার নিজ ঘরে ৪ বছরের ছেলেকে ঘুমে রেখে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করে। এ সময় সন্তানের কান্না শুনে পরিবারের লোকজন ঘরের সিটকনী ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে।
তথ্য সূত্রে আরো জানা যায় যে, শনিবার ( ৩০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আগুয়ান্দী গ্রামের মোঃ কামাল হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৪২) তার নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। সংবাদ পেয়ে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।
অপর দিকে একই দিন সকাল ৬টার দিকে উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত কালাপাহাড়িয়ার নয়াগাঁও গ্রামে নিজের শোবার ঘর থেকে দুই সন্তানের জননী শাপলা আক্তার (২২) এর লাশ উদ্ধার করেছে কালাপাহাড়িয়া ফাঁড়ি পুলিশ।
শনিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৬টায় স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে । নিহত শাপলা আক্তার ওই গ্রামের প্রবাসী শওকতের মেয়ে এবং পার্শ্ববর্তী হাজিরটেক গ্রামের মৃত মালেকের ছেলে আরেক প্রবাসী জাহাঙ্গীরে এর স্ত্রী।
কালাপাহাড়িয়া ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ রাশেদুল বারী জানান, ওই ঘরের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। তবে পরিবারের সদস্যরা দাবী করছেন, শাপলা আক্তার নিজের শোবার ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন । ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এমন ঘটনা ছাড়াও আড়াইহাজার কলামদি এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে কীটনাশক পানে মোছা. মাসূদা বেগম (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৩১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো








Discussion about this post