এমপি পুত্রের ছবি সংবলিত ব্যানার সাটিয়ে এলাকাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল ইকবাল হাসান উজ্জল।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকায় যুব সমাজের পক্ষ থেকে এমন শুভেচ্ছা ব্যানার প্রচার করা হয়।
শুধু সংসদ পুত্রই নন, ব্যানারটিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সহ সভাপতি মো. টিপু সুলতানেরও ছবি আছে।
স্থানীয়রা বলছেন, অটো রিক্সার গ্যারেজের আড়ালে ইকবাল হাসান উজ্জল চোরাই অটো ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসায় জড়িত।
৩০ জুলাই (শনিবার) তাকেসহ আরো কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। ইকবাল হাসান উজ্জল টিপু সুলতানের কাছের লোক জানা গেলেও টিপু সুলতন অবশ্য তা অস্বীকার করেছেন।
৩০ জুলাই (শনিবার) কাশিপুর হাটখোলা এলাকার মো. আব্দুর রহমান নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর অটো গাড়ী চুরি ও চোরাই গাড়ী ক্রয়ের অভিযোগে ইকবাল হাসান উজ্জলসহ আরো ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা পুলিশ।
ফতুল্লা থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা চোরাই অটো কিনার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
অপর দিকে গত ২৮ জুলাই রাত ১২টার দিকে অয়ন ওসমান নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটার শেয়ার করেন।
সেখানে সাংসদ পুত্র অয়ন ওসমান লিখেছেন, ‘প্রতিনিয়ত চেনা-অচেনা অনেক মানুষ’ই আমার সাথে দেখা করতে আসে ও ছবি তোলার অনুরোধ রাখে। আমি সেটা সম্মানের চোখে দেখি এবং ছবি তুলি, কোন সময় কাউকে না করি না। কিন্তু এই ছবি অপব্যবহার করে কেউ যদি কোন ব্যাবসায়ীক চিন্তা ভাবনা রাখে, কোন অপপ্রচারের চিন্তা ভাবনা রাখে, এটার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব আমার না, তার জন্য দেশের আইন বা প্রশাসন আছে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো আমার সাথে ছবি তুলে, সে ছবির অপব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য’।
নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় একজন জানিয়েছেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. টিপু সুলতানই ইকবাল হাসান উজ্জলসহ আরো বেশ কিছু প্রতারককে শেল্টার দিচ্ছেন। এলাকাগুলোতে অধিপত্য বিস্তার, প্রতিপক্ষকে নিয়ন্ত্রন ও রাজনৈতিক সভা সমাবেশে নিজের উপস্থিতি জানান দিতেই টিপু সুলতান অবৈধ এ সকল অটো চোরাই ক্রয় চক্রের সদস্যদের পৃষ্টপোষকতা করছে।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. টিপু সুলতান।
তিনি গণমাধ্যম কে জানান, ইকবাল হাসান উজ্জলকে তেমনভাবে তিনি চিনেন না। অনেকেই এসে ছবি তোলে এবং আমাদের ছবি ব্যবহার করে ব্যানার টাঙ্গিয়ে প্রচার করে। তবে তিনি এও বলেছেন, চোরাই অটো চুরির অভিযোগে ইকবাল হাসান উজ্জলসহ আরো কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু ভিষয়টি নিছক একটি ভুলবুঝাবুজি ছিল, যার কারণে যিনি মামলা দায়ের করেছে সে নিজেই আসামীদের ছাড়িয়ে নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ইকবাল হাসান উজ্জল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে অটোটি কিনেছিলেন।
ভুলবুঝাবুঝিতে মামলা হয়েছে এমন বিষয় নিয়ে কথা হলে মামলাটির বাদী মো. আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, কোন ভুলবুঝাবুঝি নয়, তারা চোরাই অটো কিনেছিল এবং এমন সত্যতা পেয়ে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ইকবাল হাসান উজ্জলের বড় ভাইসহ আরো কয়েকজন বিষয়টি মিমাংসার আশ^াস দিয়ে অভিযুক্তদের জামিনে সহায়তা করার কথা জানিয়েছিল।
বিষয়টি পুরো নারায়ণগঞ্জজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।









Discussion about this post