একজনের পরিবারে বিয়ের কথা চলছে, কিন্তু তিনি বিয়ে করবেন না। আরেকজন মায়ের কাছে বায়না ধরেছিলেন মোবাইল কেনার টাকার জন্য, কিন্তু মা টাকা না দিয়ে মারধর করেছেন। তাই দুই বান্ধবী একসঙ্গে ‘অভিমান করে’ পালিয়ে যান বাড়ি থেকে। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় ১১ দিন পর সুনামগঞ্জের ওই দুই ছাত্রীকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উদ্ধার একজনের সোমা আক্তার শাহজাদী (২২)। তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌড়ারং ইউনিয়নের বড়ঘাট গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সানজু মিয়ার মেয়ে ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আরেকজন লায়লা সোবহান ঝিলিক। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের পলাশগাঁওয়ের আব্দুস সোবহানের মেয়ে ও পলাশ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসএসসি পরীক্ষার্থী ঝিলিক জানান, তিনি মায়ের কাছে মোবাইল কেনার জন্য টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু মা মোবাইল কেনার টাকা না দিয়ে মারধর করায় সে মায়ের সাথে অভিমান করে বান্ধবী শাহজাদীর সঙ্গে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লা এলাকায় চলে যান।
অপরদিকে কলেজছাত্রী সোমা আক্তার শাহজাদী তার বিয়ের কথাবার্তা চলার কারণে তিনি পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বান্ধবী ঝিলিকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। সোমা পুলিশকে জানান- তিনি এখন বিয়ে করতে চান না, লেখাপড়া করতে চান।
পুলিশ জানায়, গত ২১ জুলাই সকালে লায়লা সোবাহান ঝিলিক ও সোমা আক্তার শাহজাদী একসঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এর ১১ দিন পর ফতুল্লা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজের জন্য যাওয়ার পথে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে পুলিশ সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ দুজন নিখোঁজের পর পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে।









Discussion about this post