নারায়ণগঞ্জ থানা ও টানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির মাত্র কয়েক গজের মধ্যে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌড়াত্ম এবং প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে সকল ধরনের মাদক। নিয়মিত পুলিশকে মাসোয়ার দিয়েই চলছে এমন ব্যবসা । এমন ঘটনায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সুইপার কলোনীর ভিতরে – বাহিরে নিয়মিত পরিচালিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে হরিজন সমাজ সেবা সংঘ।
সোমবার (০১ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের পক্ষে এ স্মারক লিপিটি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, টানবাজার হরিজন সিটি সেবক করোনীর বাসিন্দারা এক অরাজনৈতিক সেবামূলক সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত। কলোনীতে আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিতে বসবাস করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, কলোনীতে অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের কারনে অত্র কলোনীর পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং সমাজের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। কারন এলাকার কিশোর, যুবক এমনকি বৃদ্ধরা পর্যন্ত মাদকে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।
স্মারক লিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মাদক বিক্রি বন্ধ করতে না পারলে আর যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আগামী প্রজন্ম শিক্ষা নয় বরং মাদকে আসক্ত হয়ে পড়বে এবং নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তাই আগামী প্রজন্ম ও যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার্থে কলোনীর সকল সামাজিক সংগঠন ও স্থায়ী জনসাধারণের সম্মতিক্রমে কলোনীতে কোন প্রকার মাদক বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই কলোনীর পরিবেশ রক্ষা ও আগামী প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানায় তারা
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ হরিজন ডোমার সমাজ পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান সর্দার শরীফ লাল, সিনিয়র প্রধান বুচ্চা লাল, হরিজন সমাজ সেবা সংঘের সভাপতি সেরা লাল রিপন, সাধারণ সম্পাদক মামুন চন্দ্র দাস, যুগ্ম সম্পাদক রনি দাস, দপ্তর সম্পাদক সুমন দাস, ক্রীড়া সম্পাদক নয়ন দাস, সহ ক্রিড়া সম্পাদক রামা দার, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি শিমুল দাস, নারায়ণগঞ্জ ডোম সমাজ পঞ্চায়েত কমিটি একতা যুব সংগঠনের প্রধান সর্দার আজব লাল, সভাপতি অরুপ দাস।
মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্মারক লিপি প্রদান শেষে সিলেটে বানভাসী মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে সহযোগিতাও প্রদান করা হয়।
স্বারকলিপি প্রদানের পর হরিজন সমাজ সেবা সংঘের কয়েকজন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা তো সব দেখি বুঝি । নিয়মিত থানা পুলিশ, টহল পুলিশ, কিলো পুলিশ, স্পেশাল পুলিশ, থানার বড় বাবু, ছোট বাবু, দারোগাদের কেউ কেউ এবং ফাাঁড়ির অনেকেই নিয়মিত সুইপার পট্টি থেইক্কা মান্থি নেয় । এই দৃশ্য কে না দেখছে । সক্কলেই এমন ঘটনা দেখলেও কেউ পুলিশ আর এই মাদক ব্যবসায়ীদের ভয়ে মুখ খুলে না । পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আমার আইছি ডিসি সারেরে জানাইতে। দেখি পুলিশরে ম্যানেজ কইরা এই মাদক ব্যবসায়ীরা আর কতদিন এই ব্যবসা করতে পারে !









Discussion about this post