ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকৃত শীতল এসি পরিবহনের বাসে ৬৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা, বিআরটিসি ডাবল ডেকারের বাসে ৪০ টাকা থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা, হিমাচল পরিবহনের বাসে ৪৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ টাকা নেয়া হচ্ছে। সেই সাথে বন্ধন ও উৎসব পরিবহনের বাসে ৪৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬০ টাকা করে নিচ্ছে। যেটা গত ৭ আগস্ট ৪৫ টাকা থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ টাকা করে নিচ্ছিল। সেই টাকা থেকে তারা ৫ টাকা কমিয়ে ৬০ টাকা করে নিচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জের ভাড়া নৈরাজ্য ননএসি বাসভাড়া ৫০ টাকার বেশি না করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম। ভাড়া নৈরাজ্য ঠেকাতে সব ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
বুধবার (১০ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন জেলা যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে বাসভাড়া নিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দীর্ঘদিনের। এখানে পরিবহন মালিকরা গোষ্ঠী বিশেষের পক্ষ হয়ে সিন্ডিকেট করে ইচ্ছেমতো ভাড়া নির্ধারণ করেন। এনিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রফিউর রাব্বি বলেন, বিআরটিএ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও ঢাকার ভেতরে বাস-মিনিবাসের ভাড়া নতুন করে নির্ধারণ করে। নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকার দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সানারপাড় হয়ে নারায়ণগঞ্জের দূরত্ব ১৯ কিলোমিটার। এ রুটে নতুন নির্ধারিত ভাড়া হিসেবে ৪৪ টাকা ৪০ পয়সা হওয়ার কথা। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল ৫ টাকা যুক্ত করলে ভাড়া দাঁড়ায় ৪৯ টাকা ৪০ পয়সা। তাই আমরা সর্বোচ্চ ৫০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি। সরকারের পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি বাসভাড়া সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা করার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এ সময়ে হঠাৎ করে নারায়ণগঞ্জে রেলের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। সরকারি সংস্থা বিআরটিসি ও রেল কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থ উপেক্ষা করে স্থানীয় পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে সরকারি এ গণ পরিবহনকে লোকসানে ফেলেছে।
ফোরামের সদস্য সচিব ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক, দুলাল সাহা, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন প্রমুখ।









Discussion about this post