“আমার মনে হয় নারায়ণগঞ্জে রাজনীতির চেয়ে অপরাজনীতি বেশি হচ্ছে। কিছু লোক বড় বড় পদ হাতিয়ে নিয়েছে। জেলা মহানগর ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে বলতে চাই সামনে সময় খুব ভাল না। আমার কারণে যদি দল ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রয়োজনে আমাকে দল থেকে বের করে দিন। সবাই প্রস্তুতি নেন। এলাকায় এলাকায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যে কোন্দল আছে তার নিরসন করুন। দলকে সুশৃঙ্খল করুন। আজ সবাই মিলে দল করলে হয়ত নেত্রীকে বলতে পারতাম পচাত্তরের মত কিছু হলে আমরা কিছু করতে পারব।
এভাবেই ৭৫ এর আগষ্টের মতো ঘটনা ঘটনার আশংকা প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বুধবার (১৭ আগষ্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।
এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক রবিউল আমিন রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শামীম ওসমান বলেন, শোক দিবসের আলোচনা সভায় জাতির পিতার কন্যা কিছু কষ্টের বহিঃপ্রকাশ করেছেন। বলছেন, এত বড় আওয়ামী লীগ সেদিন কেউ প্রতিবাদ করল না কেন। বঙ্গবন্ধুর লাশ সেখানে পড়ে রইল। আমার পিতার লাশ কেউ ধরতে আসেনি। রিলিফের কাপড় দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে কবরে শায়িত করা হয়। তিনি তার মৃত্যুর পরও কিছু হবে তিনি আশা করেন না। আমার প্রশ্ন বঙ্গবন্ধু কন্যার এই আক্ষেপ আমরা আসলে করছি কী।
বক্তব্য দিচ্ছি সবাই, যেন আমরা পৃথিবী জয় করে ফেলছি। আমরা আজ কী করছি স্মরণ, শোক সভা, খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। এগুলো থাকবে তো, যদি নেত্রীর ওপর আঘাত আসে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করছি না পদ পদবি বাগিয়ে নিচ্ছি। এটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে ।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা উপস্থিত ছিলেন।









Discussion about this post