ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস লাইনের যেন ছড়াছড়ি। নতুন করে আবাসন প্রকল্পের পাঁচ শতাধিক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল তিতাস। জব্দ করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক চুলা ও রাইজার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুশরাত আরা খানমের নেতৃত্বে রোববার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার ফতুল্লার পঞ্চবটির চাঁদনি হাউজিংয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
তবে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকালে চাঁদনি হাউজিংয়ের কিছু ভবনের মালিক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, এসব অবৈধ সংযোগের পেছনে তিতাসের কয়েকজন কর্মকর্তা ও ঠিকাদার জড়িত আছেন। বাড়ি প্রতি দুই থেকে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে তারা এই হাউজিংয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়েছেন।
এই চাঁদনি হাউজিং ছাড়াও সদর উপজেলার কাশিপুরের একজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে তার চেলাচামুন্ডারা লাখ টাকার বিনিময়ে প্রায় প্রতিটি এলাকায় শত শত অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । শুধু কাশিপুর ইউনিয়নে হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ রয়েছে। যার প্রতিমাসের ভাড়াও নেন এই চক্র।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কো. লিমিটেডের ফতুল্লা আঞ্চলিক বিপন্ন বিভাগের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন জানান, চাঁদনি হাউজিং নামে আবাসিক এলাকার অধিকাংশ বহুতল ভবনে কিছু বৈধ গ্যাস সংযোগের পাশাপাশি অবৈধভাবে বিপুল সংখ্যক চুলা ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে আশপাশের বৈধ গ্রাহকরা ঠিকমতো গ্যাস পাচ্ছেন না। রোববার প্রায় ১০০টি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে জানিয়ে এসব অবৈধ সংযোগ প্রদানের পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
অবৈধ সংযোগের ব্যাপারে প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন বলেন, কারা সংযোগ দিয়েছে তাদের নাম পরিচয় আমাদের জানানো হোক। তাদের চিহ্নিত করে দেয়া হোক। তিতাসের কেউ জড়িত থাকলে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেবে।








Discussion about this post