তিতাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে ফতুল্লার অপরাধীদের কর্তা হিসেবে পরিচিত এক সময়ের সামান্য ড্রাইভার ও দিনমজুর থেকে আঙ্গুল ফুলে করাগাছ বনে যাওয়া আবদুল হামিদ ওরফে পাগলা হামিদ তার দলবল নিয়ে বাঁধা প্রদান করে ম্যাজিস্ট্রেট কে ।
এ সময় সাংবাদিকদেরও নানাভাবে হুমকি দেয় এই অপরাধী হামিদ। এমন ঘটনায় সকল গণমাধ্যমে সোমবার (২৯ আগষ্ট) সংবাদ প্রকাশ হলে নরায়ণগঞ্জ মহানগরীতে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। সামান্য একজন ড্রাইভার থেকে আঙ্গুল ফুলে করাগাছ বনে যাওয়া এই হামিদ এতা সাহস পায় কি করে ? তাকে কেন এখনো আনা আওতায় আনা হয় নাই ? তাহলে কি আইনশৃংখলা বাহিনী এই অপরাধী ড্রাইভার হামিদের কাছে অসহায় ? এমন প্রশ্ন সকলের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে
ফতুল্লায় একটি আবাসিক এলাকায় শতাধিক বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। ২৮ আগষ্ট রোববার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ফতুল্লার পঞ্চবটির চাঁদনী হাউজিংয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুশরাত আরা খানম। অভিযানের সময় স্থানীয় আঃ হামিদ ওরফে পাগলা হামিদ তার দলবল নিয়ে বাঁধা প্রদান করেন। এসময় সাংবাদিকদের সাথেও দূর্ব্যবহারে করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পাগলা হামিদ সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তাঁর প্রভাবেই চাঁদনী হাউজিং এ সব চলে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কো. লিমিটেডের ফতুল্লা আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন জানান, চাঁদনি হাউজিং নামে আবাসিক এলাকার অধিকাংশ বহুতল ভবনে কিছু বৈধ গ্যাস সংযোগের পাশাপাশি অবৈধভাবে বিপুল সংখ্যক চুলা ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে আশপাশের বৈধ গ্রাহকরা ঠিকমতো গ্যাস পাচ্ছেন না। প্রায় ১শটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এসব অবৈধ সংযোগ প্রদানের পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
সামান্য ড্রাইভার থেকে কোটিপতি সেই ঢালাই কারখানার কর্মচারী আবদুল গফুরের ছোট ছেলে আবদুল হামিদ ওরফে পাগলা হামিদ এতো সাহস পায় কি করে ? এমন প্রম্ন পুরো নগরবাসীর
নিম্নে ৩১ মে, ২০১৮ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের চিত্র :
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ফতুল্লার অনেক অপরাধী আছে যাদের মধ্যে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। এমন অপরাধীদের মধ্যে কেউ দর্জি শ্রমিক কেউ ছিচরে চোর, কেউ হোসিয়ারীর কর্মচারী আবার কেউ সামান্য বেতনের ড্রাইভার থেকে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেলেও আইনশৃংখলা বাহিনী রহস্যজনক কারণে এবং রাজনৈতিক নেতাদের নানা তদ্বিরে ভুমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, মাদকের রমরমা কারবার চালিয়ে আসলেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।
এমন এক মাদক ব্যবসায়ীদের রক্ষনাবেক্ষনকারী শেল্টারদাতা, চিহ্নিত চাঁদাবাজ, জুয়াসহ সকল ধরনের অপরাধ করে ফতুল্লার চাঁদনী হউজিংয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ঢালাই কারখানার কর্মচারী আবদুল গফুরের ছোট ছেলে আবদুল হামিদ ওরফে পাগলা হামিদ রাতারাতি বিশাল ধন সম্পদের অধিকারী হয়ে আতংকের সৃস্টি করায় এলাকাবাসীর মাঝে নানাভাবে সমালোচনা সৃস্টি হয়েছে।
রাজনৈতিক শেল্টার নিয়ে ফতুল্লার হামিদ ওরফে পাগলা হামিদ পঞ্চবটি ফাজিলপুর এলাকায় একক নিয়ন্ত্রণ গড়ে তুলেছে রাম রাজদ্ব । তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ভাতিজা ভাগিনাসহ প্রায় দুই শতাধিক সন্ত্রাসী । এদের দিয়ে মাদক ব্যবসা, জমি দখল, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাাঁবাজিসহ এমন কোন অপকর্ম নাই যা কয়েক বছর যাবৎ করে আসছে না পাগলা হামিদ।
শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও সকল ধরণের অপরাধ করে কোটি কোটি টাকার মালিক পাগলা হামিদ বহুতল ভবনের মালিক। বিদেশ থেকেও নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বাড়ী তৈরী করে এলাকায় চমক সৃস্টি করেছে হামিদ। ফতুল্লা থানা, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ও জেরা ডিবি পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সকল ধরণের অপরাধ করলেও কেউ সন্ত্রাসী/মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীদের শেল্টারদাতা হামিদ ওরফে পাগলা হামিদের টিকিটিও কেউ স্পর্শ করতে পারে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফতুল্লা/পঞ্চবটি, ফাজিলপুরের অনেকেই বলেন, মাত্র কয়েক বছর পূর্বেও হামিদ ওরফে পাগলা হামিদ পেটের দ্বায়ে ফতুল্লার আবু সরকারের ব্যক্তিগত গাড়ীচালক হিসেবে সামান্য বেতনে চাকুরী করতো । তার বাবা ছিলেন সামান্য ঢালাই কারখানার কর্মচারী । মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই রাজনৈতিক নেতাদের মিছিল মিটিংয়ে লোক সরবরাহ করে এবং নেতাদের শেল্টারে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, জমি নিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে/দখল করে এবং যে কোন ব্যবসায়ী বাড়ী বা কল কারখানা নির্মান করতে গেলে পাগলা হামিদকে ম্যানেজ না করে বাড়ী বা কারখানা নির্মাণ করতে পারে না । যা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে পাগলা হামিদ ও তার নিয়ন্ত্রিত বাহিনী। ভাতিজা ভাগিনা ছাড়াও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ইলু বাহিনী, সোনিয়া, রনি, পপি পাইকারী ব্যবসার শেল্টার দিয়ে আসছে পাগলা হামিদ। বাড়ী বা কারখানা নির্মাণ করতে গেলে যে কেউ রড, সিমেন্ট, ঠিকাদার অথবা বালু সহ সকল নির্মণ সামগ্রী পাগলা হামিদের মাধ্যমে কিনতেই হবে । নইলে দিতে হবে মোটা অংকের চাঁদা।
এমন ঘটনার একজন ভূক্তভোগি জানান, বাড়ী করতে গিয়ে হামিদের রোষানলে পরতে হয়েছিলো । এমন ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে গেলে এক কর্মকর্তা অভিযোগ না নিয়ে উল্টো জানায়, “এলাকার ছেলেরা কি করে চলবে। ইট বালু সিমেন্ট সাপ্লাই দিতে চেয়েছে খারাপ কি করেছে, যান হামিদের সাথে মিলেমিশে কাজ করে কোন সমস্যা আর হবে না।” এখন যদি আমার নাম প্রকাশ হয় অথবা যেই কর্মকর্তা আমার অভিযোগ না নিয়ে সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছে তার নাম প্রকাশ করলে আমাকে কি পরিমাণ হয়রানী হতে হবে তা এলাকার সকলেই জানেন। তাই কেউ প্রতিবাদ না করে অপরাধীদের সাথে মিলেমিশেই চলতে বাধ্য হচ্ছি। সন্ত্রাসী পাগলা হামিদে ভয়ে এলাকায় কেউ কথা বরতে সাহস করে না। (এমন অভিযোগের অসংখ্য রেকর্ড সংরক্ষণে রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে।)
এমন অসংখ্য অভিযোগ সম্পর্কে আবদুল হামিদ ওরফে পাগলা হামিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে প্রতিবেদককে বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যে। আমি চুল পরিমাণ অপরাধ করি না। আমার বাবার সম্পত্তিতে আমি বহুতল ভবন করেছি । আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হয়তো এগুলি বলছে। আমার কোন রাজনৈতিক পদ নাই। তবে হেলাল ভাই, সাজনু ভাই, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফ উল্লাহ বাদলের মিছিল মিটিংয়ে লোক নিয়ে যাই তাই তারা আমাকে দেখে রাখেন। আমার ২/৩শ লোক আছে, তাদের নিয়েই মিছিল মিটিংয়ে যাই। কি ব্যবসা করেন এমন প্রশ্নে হামিদ আমতা আমতা করে গার্মেন্টেসের ব্যবসা করে বলে জানান। আমার সম্পর্কে সাজনু, হেলাল, বাদল চাচা, ফতুল্লা থানা পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ থানা ও ডিবি পুলিশ ও বিশেষ পেশার কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে তাদের কাছে যাচাই করার দাবীও করে ড্রাইভার থেকে হঠাৎ কোটিপতি আবদুল হামিদ ওরফে পাগলা হামিদ ।
এক পর্যায়ে প্রতিবেদককে তার সাথে দেখা করার জন্য বারবার আহবান জানায় এবং অনেকেই তার সাথে দেখা করেন বলেও জানায় হামিদ।









Discussion about this post