সদর উপজেলার চরাঞ্চল হিসেবে পরিচিত বক্তাবলীর স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য ও প্রভার বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
২৯ আগষ্ট সোমবার রাতে দুই পক্ষের ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করেন ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ চৌধুরী।
তবে এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট ) দুপুর পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইন ২০১৯–এর (১) ৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে আকবর নগর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়াতে পারে বলে আতঙ্কিত এলাকার লোকজন।
গতকাল সকাল ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নদীবেষ্টিত বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবর নগর এলাকায় বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সামেদ আলীর লোকজন এবং বক্তাবলী ইউনিয়নের পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
তবে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় সামেদ আলী ও শওকত আলীকে আসামি করা হয়নি। মামলায় আসামি করা হয়েছে শওকত আলীর সমর্থক জাকির হোসেন (৪০), সামেদ আলীর ছেলে ওসমান গণি (৪০), হৃদয় (২৮), সজীব (৩০), রাজীব (৩২), আরিফসহ (৩৫) দুই পক্ষের ৩৫ জনকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল সকাল ৯টার দিকে পূর্বশত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোপালনগর ও আকবর নগর গ্রামের দুটি পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। এতে নেতৃত্ব দেন চর বক্তাবলীর জাকির হোসেন ও আকবর নগর গ্রামের ওসমান গণি। তাঁদের নেতৃত্বে উত্তেজিত ৫০-৬০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় তাঁরা একে অন্যের ওপর বল্লম, টেঁটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। পটকা ফুটিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে দুজন এসআইসহ ছয় জন আহত হয়েছে।
বক্তাবলীর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় তাঁর সাত সমর্থক পুলিশের ছোড়া শটগানের গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশের করা মামলায় তাঁর লোকজনকেও আসামি করা হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি।
সামেদ আলী বলেন, তাঁর লোকজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের মামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।








Discussion about this post