বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক ভাংচুর, ইট নিক্ষেপসহ তুমুল সংঘর্ষের পর পুলিশের টিআর সেল, রাবার বুলেট ও গুলিবর্ষণের পর শহরের ২ নং রেল গেইট এলাকার মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে যুবদলের কর্মী শাওন ।
এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের পরিবারের সাথে নানা হয়রানি ও নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে কথিত ছাত্রলীগ নেতাদের থানায় ঢেকে এনে এবং নিহতের ভাইকে প্রায় ১০ ঘন্টা থানার ওসির কক্ষে বসিয়ে কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে শাওনের লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে ।
এ সময় গণ্মাধ্যম কর্মীদের সাথে পুলিশের অপেশাদারি আচরণ ছিলো লক্ষনীয়।
একদিকে পুলিশের এমন অপেশাদারিত্ব আচরণ অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে আরএমও এসকে ফরহাদের নানা নাটিকয়তায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে ।
আর এমন অস্বচ্ছ আচরনের সুযোগ নিয়ে বিএনপি শাওনের এমন মৃত্যুতে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নারায়ণগঞ্জ আদালত জেলার পুলিশ সুপার, এএসপি, ওসিসহ ১৯২ জন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাওন হত্যাকান্ডে অভিযোগ দাখিল করেছে ৷
যা মুহুর্তের মধ্যেই টক অব দ্যা কান্ট্রি তে রূপ নিয়েছে ।
রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে এ আবেদন করেন।
আদালত শুনানি শেষে পরে আদেশ দিবেন বলে জানান।
মামলার আবেদনের পর অ্যাডভোকেট মাসুদ তালুকদার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, শাওন হত্যা বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসচিব রুহুল কবির খান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি শুনানীর জন্য রেখেছেন।
মামলার আবেদনে বাকী আসামীরা হলেন,সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ অঞ্চল) নাজমুল আলম, এসআই কামরুজ্জামান, ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু, কনস্টেবল শাহরুল আলম, মো. সোহাগ, মো. আরিফ দেওয়ান, ফেরদৌস দেওয়ান, সেলিম, রিপন, যুগল, মামুন, রিয়াজ, হাফিজ, এএসআই ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, সোহরাব, কনস্টেবল জাকির হোসেন, নাঈম, রাকিব, আনিস, সাইদুল, ইনজামামুল, রাসেল, খলিলুর রহমান, মোহসীন মিয়া, মোস্তাকিম, শাহাদাত হোসেন, ফখরুল ইসলাম, আরিফ দেওয়ান, দীপক সাহা, শাহীন, ফরিদ উদ্দিন, মুরাদুজ্জামান, শাহীন, কবির হোসেন, মান্নান, রুবেল, সোহাগ ৷ আসামী করা হয়েছে ৪২ জনকে।
এই মামলার আবেদনে আরো ১০০/১৫০ জন পুলিশ সদস্যদের আসামী করা হয়েছে ।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ তালুকদার বলেন, আপনারা সকলেই জানেন নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেইট এলাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় পুলিশ গুলিবর্ষন করে। এতে গটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় যুবদল কর্মী শাওন। মাহফুজুর রহমান কনক চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলিবর্ষণ করেছে। কিন্তু তার নামে পিস্তল বরাদ্দ ছিল। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে হত্যাযজ্ঞে অবতীর্ণ হয়ে মরদেহ উপহার দিয়েছে। আমাদের শাওন নামে যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে। পুলিশের এই সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রমের প্রতিবাদে আমরা মামলার আবেদন করেছি। আশা করি আদালত মামলা গ্রহণ করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, গনতন্ত্রের যে অধিকার তা হরন করা হয়েছে। এ সরকার একদলীয় শাসনতন্ত্র কায়েম করতে চাচ্ছে। যার বহিঃপ্রকাশ ১ সেপ্টেম্বর প্রমানিত হয়েছে। তিনি এ (শাওন) হত্যা কান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।








Discussion about this post