নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী, প্রায় ৩০ টির অধিক মামলা ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি দীর্ঘ দুই দশক বিদেশে পালিয়ে থাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের অস্ত্র মামলায় এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটার থানার সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদ আহমেদ সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের করা মামলায় জাকির খানের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসীর আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তলসহ জাকির খানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।

শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা (পিএসসি) বলেন, জাকির খানের বিরুদ্ধে ৪টি হত্যাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে তিনি এসব মামলায় জেল খাটেন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি আরও দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠেন। এসময় তিনি নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকায় বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী ও মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে দেওভোগ এলাকার অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পিছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে শহরের ত্রাস হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেএমইএ’র সহসভাপতি সাব্বির আলম খন্দকার হত্যাকাণ্ডের পরে তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। বিভিন্ন মামলায় জাকির খান দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাকে সাজা দেন। এরপর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে জাকির খান দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির খান জানান, তার বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালে সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন বিশেষ আইনে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় ১৭ বছরের সাজা হয় তার।
পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে তার সাজা কমে ৮ বছর হলেও তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে দেশে-বিদেশে প্রায় ২১ বছর পলাতক ছিলেন। মূলত ২০০৩ সালে সাব্বির আলম হত্যা মামলায় আসামি হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
জিজ্ঞাসাবাদে জাকির খান আরও জানান, তিনি দীর্ঘদিন থাইল্যান্ডে আত্মগোপনে ছিলেন এবং সম্প্রতি ভারত হয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকে তিনি পরিচয় গোপন করে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সপরিবারে বসবাস করছিলেন।









Discussion about this post