এমন হত্যাকান্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জের ভূলতা গোলাকান্দাইল ও আশেপাশের এলাকায় এখনো পর্যন্ত থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে । এদিকে এলাকার একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করে বলেছেন শাসক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে দেলোয়ার, হানজালা, সজিব মিলাদ সোহেল, জাকিরসহ আরো অনেক সন্ত্রাসী নিজেদেরকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ সকল ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। এমন লোমহর্ষক ঘটনা ধামাচাপা দিতে শাসক দলের নেতা পরিচয়দানকারী ফয়সাল, সৌরভসহ এরা কেউ কেউ নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে
রূপগঞ্জের মাদক ব্যবসা, পরিবহণ চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ সকল ধরণের অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর রাকিব খুনের ঘটনায় বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করছে নিহতের পরবিার ও গোলাকান্দাইল পূর্বপাড়া গ্রামের এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানববন্ধন ও মিছিল করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাকিব হাসান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হাতের কজ্বি বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের দেলোয়ারসহ অপর সহযোগি সস্ত্রাসীরা।
উপজেলার গোলাকান্দাইলের কাঠপট্টি এলাকায় বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত রাকিব হাসান (২২) গোলাকান্দাইল এলাকার হারুক মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার (রূপগঞ্জ) আবির হোসেন জানান, পূর্ব বিরোধের পাশাপাশি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে নিহত রাকিবের সাথে দ্বন্ধ চলছিলো গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে। নিহত রাকিবের বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলা রয়েছে। দেলেয়ার গংয়ের বিরুদ্ধেও মামলা আছে। তারা জেলেও খেটেছেন। উভয় বিরুদ্ধে এলাকার নানা অর্পকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তাদের দ্বন্ধের জেরে রাত ৯ টার দিকে রাকিবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টায় দিকে ৮ থেকে ১০ জনের একটি মোটরসাইকেল যোগে কাঠপট্টি এলাকায় দিকে যায়। তাদের হাতে রামদা ও চাপাতি সহ দেশীয় অস্ত্র ছিলো। রাকিবকে সামনে পাওয়া মাত্রই তারা রামদা ও চাপাতি দিয়ে মাথায়, হাতে ও শরীরে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। রাকিব মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাকিবের বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে জখম করে তাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়েছে হত্যাকারীরা। পরে তার স্বজন ও স্থানীয় লোকজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ ভূইয়া মাছুম বলেন, নিহত রাকিব ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান মঈনের অনুসারী। রাকিব ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে বিভিন্ন সভাসমাবেশে যোগদান করতেন। আর দেলোয়ার শ্রমিক লীগের নেতা। আমরা দুজনই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর রাজনীতি করেন। যারা নির্মম ভাবে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের শাস্তি দাবি করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নিহত রাকিবের অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ারের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে চারপাশ ঘিরে রাখে। ওই সময় আশপাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফায়ার সাভির্সের একটি ইউনিটের সদস্যরা গিয়ে আগুন নেভায়।









Discussion about this post