নানা সমালোচনার পরেও আবার সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু আইন ভেঙ্গে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ।
আর একের পর এক এমন আইন ভাঙ্গারর কারণে আড়াইহাজার উপজেলায় সকলের মুখেই উচ্চারিত হচ্ছে জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ঘিরে।
অনেকেই বলেছেন, “যে জেলার জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন একজন সামান্য পৌরসভার জনপ্রতিনিধির পিছনে দাঁড়িয়ে ফটোসেশান করতে পারে সেই একই সংসদীয় এলাকায় প্রভাবশালী আইন প্রণেতার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ? তা সকলেই বোঝেন !”
আড়াইহাজারের গোপালদী পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে একের পর এক সভা, প্রচারণা, উঠান বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু।
এবার এক উঠান বৈঠকে তার নিজের তোলা সেলফি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকেসহ মানুষের হাতে হাতে।
রোববার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় পৌরসভার জালাকান্দী এলাকায় নৌকার মেয়র প্রার্থী হালিম সিকদারের পক্ষে নৌকার উঠান বৈঠকে অংশ নেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। এসময় তিনি নিজেই নেতাকর্মীদের সামনে বসে সেলফি তোলেন। সেই সেলফি মুহুর্তের ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।
এর আগে শনিবার (১৭ জুন) বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচীতে আচারণ বিধি ভেঙ্গে অংশ নেন এমপি। আগামী ২১ জুন গোপালদী পৌর সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গোপালদীতে মেয়র পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন । এরা হলো আওয়ামীলীগের হালিম সিকদার, স্বতন্ত্র তানভীর আহমেদ, আবুল মুনছুর ও মনিরুজ্জামান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার বিকালে প্রথমে এমপি বাবু সদাসদী গ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শওকত এর বাড়ীতে উঠান বৈঠক করে নৌকার পক্ষে ভোট চান। পরে মেয়র প্রার্থী হালিম সিকদার, আওয়ামীলীগ নেতা জাকির মোল্লাকে সাথে নিয়ে উলুকান্দী, সদাসদী ও কলাগাছিয়া এলাকায় গণসংযোগ করেন। বিকালে মোল্লার চর মোড়ে বিশাল উঠান বৈঠকে এমপি প্রকাশ্যে ভোট চান এবং স্বতন্ত্র প্রাথী আবুল মুনছুর, মনির হোসেন ও তানভীর হোসেনকে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে উপস্থিত সকলকে হাত তুলে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য শপথ করানো হয়।
এদিকে সন্ধ্যার দিকে কলাগাছিয়া মোড়ে হালিম সিকদারের সহকারী রাসেল তানভীর আহমেদের নির্বাচনী ক্যাম্পে গিয়ে তার কর্মী সবুজ, সাইদুল, আহসান উল্লাহকে মারধর করেন। এই সময় এমপি বাবু তানভীর আহমেদের কর্মীদের ডেকে নৌকার পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন এবং তানভীরের নির্বাচনী ক্যাম্প বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ করেন তানভীর। এতে আতংকিত হয়ে পড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আরো জানান, পৌরসভায় কর্মরত রাসেলসহ ১০/১২ জন কর্মচারী প্রতিনিয়ত নৌকার নির্বাচন করছেন। এতে আচারণ বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রিটানিং কর্মকর্তা বশির আহমেদ জানান, কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।









Discussion about this post