গত বছর ৬ মার্চ নাসিক মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী নগরীর ২নং রেল গেইট এলাকার অসহায় হয়েই অবৈধ বাস স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ট্রাফিক পুলিশের প্রতি অনুরোধ করেন । এরপর জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ ২৬ জুন মধ্যে অবৈধ স্ট্যান্ড ও পরিবহণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে ঘোষনা দেন। এরপরে এক বছর অতিবাহিত হলেও নগরীর এই নৈরাজ্য বন্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নাই জেলা প্রশাসক প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ । তরে কি আইনশৃংখলা বাহিনী ব্যার্থ নাকি নির্লজ্জের মতো ম্যানেজ ? এমন প্রশ্ন নগরবাসীর ।
“কবে শেষ হবে গত বছর জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের আল্টিমেটাম দেয়া সেই ২৬ জুন ? তিনি এখনো নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের চেয়ারে আসীন রয়েছেন বদলী হবার পরও। তবে কি জেলা প্রশাসন নারায়ণগঞ্জবাসীর সাথে বারবার তামাশা করেছে ? অবৈধ পরিবহণ অবৈধ ষ্ট্যান্ড চলছে কি করে ? পরিবহণ সেক্টরে চরম নৈরাজ্যের পরও কেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা একেবারেই চুপ ? ঘোষনা দিয়েও নিশ্চুপ থাকায় প্রমাণ করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের অনেকেই নানাভাবে ম্যানেজ এবং নির্লজ্জ মেরুদন্ডবিহীন।
আজ সোমবার (২৪ জুলাই) উল্লেখিত এমন মন্তব্য করেছেন অসংখ্য নগরবাসী ।
সকাল সাড়ে আটটায় নারায়ণগঞ্জ নগরীর পরিবহণ গডফাদারদের নিয়ন্ত্রিত উৎসব পরিবহণের চাপায় ২নং রেল গেইট এলাকায় একজন বৃদ্ধা গুরুতর আহত হলেও কয়েক গজের মধ্যে দাড়িয়ে থাকা উৎসব ও বন্ধন পরিবহণের অবৈধ কাউন্টার থেকে কেউ এগিয়ে না আসলেও পথচারীরা দৌড়ে উদ্ধার করে আহত বৃদ্ধাকে। আর একেবারে সন্নিকটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য অটো রিক্সা আটক ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করছে নিঃসংকোচ ভঙ্গিতে।
মাত্র কয়েক গজর মধ্যে আরো কয়েকজন ট্রাফিক সদস্যদের কেউ দিগুবাবুর বাজারের প্রতিটি অটো রিক্সা থেকেই নির্ধারিত হাারে চাঁদা আদায় করার চিত্র প্রতিদিনের। একই সাথে অপর ট্রাফিক সদস্যরা কেউ মটর সাইকেল আটক করে চালাচ্ছে বাণিজ্য আবার কেউ ফজর আলী ট্রেড সেন্টারের সামনের অটো রিক্সার সিরিয়াল ঠিক করার নামে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
কাকডাকা (অন্ধকার থাকতেই) ভোরে ট্রাফিক পুলিশের কোন দায়িত্ব না থাকলেও দিগুবাবুর বাজার, চাষাড়া চত্তর, সাইবোর্ড, পঞ্চবটি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকান্ড দেথে অনেকেই কঠের সমালোচনা করে বলেন, “প্রতিদিন কাকাঢাকা ভোর থেকে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন কন্সষ্টেবল ও ওই কন্সষ্টেবলের নিয়ন্ত্রিত চাঁদাবাজ চক্র অটো রিক্সা নিয়ন্ত্রণের নামে চাঁদাবাজির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে একেবারেই প্রকাশ্যে। আর বন্ধন, উৎসব, বন্ধসহ অসংখ্য পরিবহন দীর্ঘদিন যাবৎ নগরীর ২নং রেল গেইট (ডায়মন্ড হল চত্তর) এলাকার পুরো সড়ক দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড তৈরী করে রাম রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে পুরো প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ।
আর এই নগরীর মেয়র বারবার এমন নৈরাজ্যের বিরোধীতা করে জেলা প্রশাসনকে বারবার তাগিদ দিলেও কে শুনে কার কথা । এমন নৈরাজ্য বন্ধ হবে করে ? করে বন্ধ হবে অসাধু কর্মকর্তাদের উচ্ছিষ্ট গ্রহণ ? নগর বাসী স্বস্তি পাবে করে ? এমন প্রশ্নও ছিলো অনেকের কণ্ঠে।









Discussion about this post