ব্যস্ততম নগরী নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ির সঙ্গে রিকশা, প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি যানবাহনের সংঘর্ষে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িচালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ির চাপায় এ সময় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চালক হঠাৎ স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে ঢলে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটার সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ির ভেতরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ীচালকের নাম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এমন মৃত্যুর তথ্য এবং দর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. ওবায়দুল ইসলাম।
চাসাড়ায় উপস্থি হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফতুল্লায় ফকির গার্মন্টসে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমাদের টিম স্টেশন থেকে রওনা দেয়। পরে চাষাঢ়ায় আমাদের গাড়ি জ্যামে আটকা পড়ে। কিছুক্ষণ পর জ্যাম ছেড়ে দিলে আমাদের গাড়িচালক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ঢলে পড়েন। এ সময় পার্শ্ববর্তী যানবাহনগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে আমাদের গাড়িচালককে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক নাজমূল আলম তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ওবায়দুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সম্ভবত আমাদের গাড়িচালক স্ট্রোক করেছিলেন। আর ঘটনাস্থলে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি।’
তবে নিহত অপর পথচারীর নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। আহতরা হলেন- খানপুরের ইরানি, জামতলার সারা ও নাজমা, চানমারির আমজাদ, খানপুরের রোকন, মাসদাইর সিরাজুল, মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর উপজেলার রেশমা।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ফতুল্লায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের হাজিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি যাওয়ার পথে শান্তনা মার্কেটের সামনে চালক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। এতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে এক পথচারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। হতাহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখাকালীন পর্যন্ত (দুপুর ১ টা) নগরীর যানবাহন চলাচল একেবারে থমকে দাড়ায়। তবে পরিস্তিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী ।









Discussion about this post