`এই সরকারের অধীনে ভোট হয়েছে রাতে। নিশি রাতের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। পার্লামেন্ট বাতিল করে সরকারকে সরতে হবে। তবেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। বিএনপি এখন মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করছে। গণমানুষের দাবি আদায়ের জন্য সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের চড়া দামে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সিন্ডিকেট করে মানুষের পকেট কাটছে সরকার। সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই কেবল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তার আগে নয়।’
এভাবেই শনিবার (৫ আগষ্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডন চেম্বার এলাকায় প্রয়াত মহানগর বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গত ২৮ জুলাই পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের মিছিলে স্লোগান দিতে দিতে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন মাহমুদুর রহমান।
রিজভী বলেন, ‘তিনি (মাহমুদ) স্লোগান দিতে দিতে ঢাকার সমাবেশস্থলে গিয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ধরনের নিবেদিত নেতা-কর্মী ঘরে ঘরে আছে বলেই দল এখনো টিকে আছে। আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলার পরেও নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছে। তাঁদেরই একজন ছিলেন মাহমুদ। তাঁর নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলা রয়েছে। দলের জন্যও ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করে গেছেন। তাঁর এই আত্মত্যাগে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা পাচ্ছি। আমাদের সব নেতা-কর্মী পুলিশি হয়রানিতে মানসিক চাপে আছেন। পুলিশি আক্রমণ, পরিবারকে হয়রানি করার ঘটনায় নেতা-কর্মীরা এতটাই মানসিক চাপে আছে যে কখন কে পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় তার ঠিক নেই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্যসচিব ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনি, নাসিক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের রহমান জিকু প্রমুখ।









Discussion about this post