নারায়ণগঞ্জের আদালত পাড়াসহ একাধিক স্থানে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ঘটে সিরিজ বোমা হামলা। এরপর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ ১৮ বছর। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি এ ঘটনার বিচার কার্যক্রম।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা থাকায় তাদের নারায়ণগঞ্জের মামলায় ঠিক সময়ে হাজির করা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে বিলম্বিত হয়েছিলো বিচারিক কার্যক্রম। তবে এই মামলার ১৪ আসামির মধ্যে পাঁচজনের অন্য মামলায় দেয়া ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর হয়েছে।
দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে শুধু মাত্র মুন্সীগঞ্জ ছাড়া বাকী ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর পূর্তি আজ। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামের একটি জঙ্গি সংগঠন পরিকল্পিতভাবে দেশের ৬৩ জেলায় একই সময়ে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। এ হামলায় দু’জন নিহত ও অন্তত ১০৪ জন আহত হন। সব জেলায় প্রায় ৫০০ পয়েন্টে চালানো হয় একযোগে বোমা হামলা ।
পুলিশ সদর দপ্তর ও র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার পরপরই সারাদেশে ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ডিএমপিতে ১৮টি, সিএমপিতে ৮টি, আরএমপিতে ৪টি, কেএমপিতে ৩টি, বিএমপিতে ১২টি, এসএমপিতে ১০টি, ঢাকা রেঞ্জে ২৩টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১টি, রাজশাহী রেঞ্জে ৭টি, খুলনা রেঞ্জে ২৩টি, বরিশাল রেঞ্জে ৭টি, সিলেট রেঞ্জে ১৬টি, রংপুর রেঞ্জে ৮টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৬টি ও রেলওয়ে রেঞ্জে ৩টি মামলা হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে ১৪২টি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বাকি ১৭টি মামলায় ঘটনার সত্যতা থাকলেও আসামি শনাক্ত করতে না পারায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়। এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয় ৯৬১ জনকে। এক হাজার ৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এই ঘটনায় সবশেষ ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. কেফায়েতুর রহমান ওরফে নোমানকে (৩৫) গ্রেফতার করে র্যাব-১১। গ্রেফতারের পর র্যাব জানিয়েছিল, নারায়ণগঞ্জের বোমা হামলায় কেফায়েতুর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন। এছাড়া, জেএমবি’র শীর্ষ সদস্যদের সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগ ছিল।









Discussion about this post