রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নাই এমন টাই আবার প্রমাণ করলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই । রাজনৈতিক দলের নেতারা কে কখন কি করে আর বলে তা বুঝা বড়ই মুস্কিল ।
রাজনৈতিক দলের নেতারা একে অপরকে রাজনৈতিক পতিতা বলেও গালি দিতেও চিন্তা করেন না। সম্প্রতি সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সাবেক সংসদ সদস্য গিয়ায় উদ্দিনকে ইংরেজিতে ‘পলিটিক্যাল প্রস্টিটিউট’ বলে এক সমাবেশে মন্তব্য করেন। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে এমন মন্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই আব্দুল হাই জাতীয় পার্টির এমপি আলহাজ্ব সেলিম ওসমান এবং লিয়াকত হোসেন খোকা কে নারায়ণগঞ্জের ‘আপদ’ বলে সমালোচনার মুখে পরেছেন ।
অতি সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই নারায়ণগঞ্জ সদর আসনের জাতীয় পার্টির এমপি আলহাজ্ব সেলিম ওসমান বিদেশে চিকিৎসারত অবস্থায় দেখতে যান । আবার সেই সেলিম ওসমান কে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক আপদ বলে মন্তব্য করেছেন। সেলিম ওসমানের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির অপর সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাকে একই মন্তব্য করায় নগরীতে আওয়ামী লীগের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আব্দুল হাইকে নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নিহতদের স্মরণে সোমবার (২১ আগস্ট) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় আব্দুল হাই বলেছেন, “নারায়ণগঞ্জে ৫টি সংসদীয় আসন। এর মধ্যে ২টিতে নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হওয়া জোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। বর্তমানে এ দু’টি আসনকেই ‘আপদ’ ।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এবং লিয়াকত হোসেন খোকাকে নারায়ণগঞ্জের ‘আপদ’ বলে আখ্যায়িত করেছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই নেতা। আসন্ন নির্বাচনে তাঁরা চাইছে ৫টি আসনেই নৌকা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, ‘ঢাকা বিভাগের মধ্যে কোথাও লাঙ্গল নাই। আমাদের উপরে আইসা জ্বীনের মতো ভর করছে। এই দুইটা আসনে লাঙ্গল দেওয়ার কারণে আমরা ডিস্টার্ব ফিল করছি। রাজাকারের ছেলেরা চেয়ারম্যান হচ্ছে, রাজাকারের ছেলেরা মাঝে মাঝে লাঠি দিয়ে আওয়ামী লীগকে পিটায়। আমরা প্রতিবাদ জানাই, ধিক্কার জানাই। বিচার চেয়েও বিচার পাই না। যদি জোট থাকে, তারপরেও আমরা আশা করবো এই দুইটাকে যেন অন্য জায়গায় সড়িয়ে দেন।
সভা থেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে আবদুল হাই আরো বলেন, “এই দুই ‘আপদ’ আপনারা অন্য জায়গায় নিয়ে যান। আমরা তাদের দায় দায়িত্ব নিতে চাই না। তারা যা খুশি তা করবে, এটা আমরা মানতে পারি না। আপনারা ৫টা আসনেই নৌকা চান, এখন দলের পক্ষ থেকে যদি নেত্রী দেয়, তাহলে ৫টার দায়িত্বও আমরা নিবো। নেত্রীর বিশাল কর্মীবাহিনী নারায়ণগঞ্জে আছে।
আবদুল হাইয়ের এমন মন্তব্যে কঠোর সমালোচনার ঝড় বইছে নগরী সর্বত্র । অনেকেই বলেছেন, ‘এই আপদ’ বিদেশে চিকিৎসারত অবস্থায় কোন স্বার্থে দেখতে গিয়েচ্ছিলেন ?”









Discussion about this post