দীর্ঘদিন যাবৎ এক সময়ের ছিচকে সন্ত্রাসী বর্তমান কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম খান ছক্কুর বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগ শোনা না গেলেও অসংখ্য মামলার অন্যতম এই আসামীর বিরুদ্ধে এবার নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনির হোসেন (৫২)।
অভিযোগকারীর আপন ভাই মোঃ সানাউল্লাহ (৫৩) এর সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারনে আদালতে মামলা চলমান থানা অবস্থায় ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম খান ছক্কু ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মনির হোসেনের বসত ঘরে তালা দিয়ে টিন দিয় চলাচল বন্ধ করে দেয়।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর সেই সুযোগ নিয়ে গত ১৯ জুলাই দুপুরে বড় ভাই সানাউল্লাহর সহযোগীতায় কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম খান ছক্কু, তার সাথে থাকা ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী, ভাবী রাশিদা আকতার পপী, ভাইয়ের সমন্ধি টিটু মিয়া মিলিত হয়ে বাড়িতে তালা দিয়ে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে মনির হোসেন ও তার পরিবারকে ।
প্রায় এক মাস যাবৎ বাড়ি থেকে বিতারিত হয়ে স্ত্রী ও নবজাত সন্তনকে নিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার মনির হোসেন শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় গতকাল ২৩ আগষ্ট বুধবার অভিযোগ দায়ের করেন ।
মনির হোসেন আরো জানায়. কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম খান ছক্কুর বাহিনীর নানা তৎপড়তা ছাড়াও সদর থানা পুলিশে মাধ্যমেও নানাভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। আদালতে দেওয়ানী মামলা নং ১৬৫/২১ চলমান থাকার পরও আমার পরিবারকে হয়রানীর পর হয়রানী করেই যাচ্ছে। কাউন্সিলর নির্বাচনের সময় আমি সাইফুল হাসান রিয়েলের পক্ষে নির্বাচন করায় সেই প্রতিহিংশায় আমাদের হয়রানী করেই যাচ্ছে ছক্কু। কাউন্সিলর ছক্কু বিএনপির নেতা তৈমূর আলম খন্দকারে ভাই সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ছাড়াও অসংখ্য মামলার আসামী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস করে না।
এমন অভিযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উপ পরিদর্শক রুবেলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বুধবার রাতে একটি অভিযোগ পেয়েছি । বিষটি নিয়ে তদন্ত করে উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ ক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।









Discussion about this post