নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা এক সময়ের শান্তির জনপদ হিসেবে পরিচিত থাকলেও কালের বিবর্তনে এই বন্দর বর্তমানে ক্রাইমজোনে পরিণত হয়েছে ।
প্রতিনিয়তঃ খুন, রাহাজানি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা, সরকারি সম্পত্তি দখল করে সকল ধরনের অপরাধ চালাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার শাসক দল ও বিরোধী দলের এমপি, নেতা, নেতাদের প্রভাবশালী পুত্রদের নাম ব্যবহার করে সকল ধরনের অপরাধ চালিয়েই যাচ্ছেই অপরাধী চক্র ।
অসংখ্য তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় বন্দর উপজেলায় যত ধরণের অপরাধ সংগঠিত হয় তার অধিকাংশ অপরাধের নেপথ্যে কারিগর হিসেবে কুখ্যাত সন্ত্রাসী খান মাসুদ ও তার বাহিনীর অন্যতম ডালিম, রাজু, চুল্লা রাজু, মেতরা মাসুমসহ অসংখ্য অপরাধী ই দায়ী । সকল ধরণের অপরাধ করেই যাচ্ছে এই মাসুদ বাহিনীর অপরাধীরা । এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ ও তা রেকর্ড করতে টালবাহানা করে । এর নেপথ্যে কারিগরি হিসেবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের বিস্তর অভিযোগও রয়েছে। কখনো স্থানীয় এমপির নাম ব্যবহার আবার কখনো আওয়ামীলীগের নেতাদের নাম ব্যবহার. আবার ওসমান পরিবারের সকল সদস্যদের নানাভাবে নাম ব্যবহার করে কুখ্যাত এই সন্ত্রাসী খান মাসুদ ও তার বিশাল বাহিনী অপরাধ সাম্রাজ্য ধারাবাহিক হিসেবে চালিয়েই যাচ্ছে। সম্প্রতি দুইটি অভিযোগ থানায় দায়েরের পর উল্টো হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসী খান মাসুদ বাহিনী বন্দরে পুলিশের নাকের ঢগায় মিছিল করে হুমকি ও দেয় ।
অপরাধের এমন ধারাবহিকতায় এবার বন্দরের মুখফুলদি এলাকায় মুন্না নামের এক যুবককে একা পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এমন ঘটনায় মুন্নার বাবা উপজেলার সাবদি বাজার এলাকার ছনখোলার মৃত আবিল হেসেনের ছেলে রফিকুল ইসরাম (৬০) বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে রফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘বন্দর থানার মুখফুলদী এলাকার সন্ত্রাসী – ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী জুনায়েদ,(১৮), সিয়াম (১৮), ইরফান (১৯), ফায়াদ (২০), অন্তর (১৮), শুভ (২৪), আনোয়ার (৫০)সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন আমার পুত্র মুন্নাকে গত ২৫ আগষ্ট শুক্রবার বিকেলে সাড়ে চারটায় একা পেয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে হত্যার উদেশ্যে এলাপাথারী কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার সাথে থাকা টাকা, মোবাইল ও ব্রেসলেট ছিনিয়ে নেয়।
রফিকুল ইসলাম আরো উল্লেখ করেন. উল্লেখিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা তাদের এলাকা মুখফুলদি ছেড়ে এসে আমাদের বাড়ির পাশে ছনপাড়ায় ছিনতাইসহ সকল ধরণের অপরাধ করেই যাচ্ছে । প্রতিনিয়তঃ এমন ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও সেবন করতে নিষেধ করায় আমার পুত্র মুন্নাকে একা পেয়ে হত্যার উদেশ্যে এমন হামলা চালায় ।
এ ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের দুই দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামী গ্রেফতার কিংবা শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত কোন মামলা দয়ের করা হয় নাই এবং উল্লেখিত আসামীরা সকলেই এলাকায় অবস্থান করে কুখ্যাত সন্ত্রাসী খান মাসুদের সাথে যোগাযোগ করে উল্টো হুমকিও দিচ্ছে । খান মাসুদের অন্যতম সহযোগী চুল্লা রাজুর সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবেও উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা এলাকায় পরিচিত বলে জানায় রফিকুল ইসলাম।
এমন ঘটনার বিষয়ে বন্দর থানার একজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শনিবার রাত ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, ‘আমরা পুলিশ বাহিনী অসহায়। ইচ্ছে করলেই সব কিছু করতে পারি না। আমাদের হাত পা আইনের কাছে বাধা । কুখ্যাত সন্ত্রাসী খান মাসুদ বলেন, সন্ত্রাসী ডালিম ই বলেন আর সন্ত্রাসী চুল্লা রাজুই বলেন এই অপরাধীদের দমন করতে এক ঘন্টা সময়ও লাগবে না পুলিশের । কিন্তু আমার কিছু করতে গেলে এই অপরাধীধের শেল্টারদাতারা ফোন দিয়ে আমাদের পুলিশের স্বচ্ছ কাজকে স্তব্ধ করে দেয় । তবে মুন্নার উপর হামলার ঘটনায় শনিবার রাতেই মামলা দায়ের হয়েছে । তাদের গ্রেফতারে চেষ্টাও চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।









Discussion about this post