রূপগঞ্জের গাউছিয়া চত্বর এলাকায় নসিমনের ধাক্কায় মো. অলিউল্লাহ (৪৫) নামে এক টেক্সটাইল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে নয়টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নসিমনের ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় অলিউল্লাহকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই মো. ইসমাইল হোসেন জানান, আমার ভাই গাউছিয়ার একটি টেক্সটাইলে চাকরি করতেন। সকালের দিকে কারখানায় যাওয়ার পথে রূপগঞ্জ গাউছিয়া চত্বর এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী নছিমনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
এমন ঘটনায় নসিমনের ধাক্কায় মো. অলিউল্লাহ কে উদ্ধারকারী রূপগঞ্জের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই লোকটার যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো এর জন্য দায়ী কে ? ঢাকা সিলেট হাইওয়েতে প্রতিদিন শত শত নিষিদ্ধ এই ভটবটি, নসিমন, থ্রি হুইলারসহ সকল নিষিদ্ধ যানবাহন চলছে । আর প্রতিনিয়তঃ দূর্ঘটনা ঘটছেই । হাইওয়ে পুলিশ কিংবা ফাঁড়ি পুলিশ করে টা কি ? খোঁজ নিয়ে দেখেন তারা সকালে ডেউটিতে আসার সাথে সাথেই চাঁদাবাজিতে মহাব্যস্ত হয়ে উঠেছে। তাদের এমন বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণেই ভটবটি, নসিমন, থ্রি হুইলার চলছে বিনা বাধায় । এতে কোন অলিউল্লাহ এক্সিডেন্ট করলো আর কে মরলো তাতে কার কি যায়-আসে। ডিউটি শেষে পকেট ভর্তি করে চাঁদাবাজির টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরতে পারলেই স্বস্তি। এই হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের কান্ড ।”









Discussion about this post