প্রতিনিয়ত: রূপগঞ্জ উপজেলায় পরিবহনে চাঁদাবাজির সময় চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গাউছিয়া গোলাকান্দাইল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন : কুমিল্লার হোমনা থানাধীন দড়িচর এলাকার আরিয়ান ইসলাম (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয় নগর থানাধীন সিঙ্গার বিল এলাকার রিপন (৩২), নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ এলাকার সাহাবুদ্দিন (৪০) ও মাদারীপুরের ডাসার থানাধীন পশ্চিম বোতলা এলাকার মিজানুর রহমান (৪৫)।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চাঁদাবাজ চক্র ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়কে চলাচলরত পরিবহন থামিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিল।
মঙ্গলবার সকালে সেই চক্রটি গোলাকান্দাইল মোড়ে বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে চাঁদাবাজি করছে বলে পুলিশের কাছে সংবাদ আসে। এসময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার যুবককে আটক করে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আসা গ্রেফতারকৃতের একজন স্বজন বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে দাঁড়িয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিনিয়ত: চাঁদাবাজির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য অপরাধী। রূপগঞ্জের হাইওয়েতে কতগুলি ফুটপাত আছে তার হিসাব কে না জানে। রূপগঞ্জের ফুটপাতে কি পরিমাণ চাঁদাবাজি হয় তার ধারণা কোন সাধারণ মানুষের আছে ? রূপগঞ্জ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের কাচপুর, শিমরাইল, শহরের অলিগলিতে ভ্যানগাড়ি করে ফল বিক্রি করতেও চাঁদা দিতে হয় । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটলেই এই চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা হয় । অপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারের পর ফের চুক্তি সম্পন্ন হলেই আবার জামিনে মুক্তি পেয়েই চলে পূর্বের ন্যয় অপরাধ । এই চারজনকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে কি থামানো যাবে চাঁদাবাজি ? এই চার জনের কাছ থেইক্কা কারা কারা চান্দা নেয় তার হিসাব প্রকাশ করুক সাহস থাকলে ! নেতা আর কর্মকর্তাদের কাছ থেইক্কা ইজারা নিয়া এই চান্দা আদায় করায় এদের কে আটকাইছে । আর ওই ইজারাদার নেতা আর কর্মকর্তাদের ধরবো কে ?’
এমন অসংখ্য প্রশ্ন করেন এই স্বজন ।









Discussion about this post