নারায়ণগঞ্জ মহনগরীর ফতুল্লায় দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ অস্ত্র হাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটনের ছোট ভাই মাসুম ওরফে বন্দুক মাসুম ও তার ভাগিনা বাবুর অসংখ্য অপরাধ সাম্রাজ্য যেন সাধারণ মানুষ মুখ বুঝেই সহ্য করে যাচ্ছে । কোন প্রতিকারও হচ্ছে না । একদিকে ফতুল্লার একটি চক্র এই ফরিদ আহম্মেদ লিটন, তাই ভাই মাসুম ওরফে বন্দুক মাসুম, ভাইগনা বাবুসহ পুরো চক্রের বিশাল অপরাধ সাম্রাজ্য ঢেকে রাখতে প্রভাবশালী একটি চক্র এক দিকে থানায় তদ্বির চালায় অপরদিকে কোন পত্রিকায় যাতে এমন অপরাদের সংবাদ প্রচার না হয় সে লক্ষ্যেও অপচেষ্টা চালিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালায়। এভাবেই ফরিদ আহম্মেদ লিটনের ব্যাপক তদ্বির ও অর্থ লেনদেন করায় তার ভাই মাসুম ওরফে বন্দুক মাসুম, ভাইগনা বাবুসহ পুরো চক্রের অপরাধীরা রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বারংবার।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে ফতুল্লার দক্ষিন সেহাচর ইয়াদ আলী মসজিদ এরাকায় এমন গুলি বসয়ষনের ছবিসহ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেচার হলেও এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যাপক তৎপড়তা চালায় একটি চিহ্নিত গোষ্ঠিী । কয়েকটি চক্র এই ঘটনা ধামাচাপ দিতে নানাভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে নানা বিকাশ ও নগদে অর্থ পাঠিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে অপচেষ্টা চালানো হয়। যা এখন ফতুল্লা ও নগরীর শহরের ব্যাপকভাবে গুঞ্জন উঠেছে ।
একই সাথে এই চক্রের সকল অপরাধীদের বিশাল অপরাধ কর্মকান্ডের (প্রমাণস্বরূপ ভিডিও অডিও রেকর্ড) ফিরিস্তি নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকার অনেকেই। একই সাথে সন্ত্রাসী মাসুমের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে ফরিদ আহম্মেদ লিটনের ছোট ভাই মাসুম ওরফে বন্দুক মাসুমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ।
জানা যায়, ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের উপর পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটনের ছোট ভাই মাসুম ওরফে বন্দুক মাসুম ও তার ভাগিনা বাবুর বিরুদ্ধে।
এ সময় হামলাকারীরা প্রায় ৮ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে এবং দু’টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।
এসময় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ফতুল্লার দক্ষিন সেহাচর ইয়াদ আলী মসজিদ এলাকায় ফরিদ আহম্মেদ লিটন, তাই ভাই মাসুম ওরফে বন্দুক মাসুম, ভাইগনা বাবুসহ পুরো চক্রের এই হামলার ঘটনা ঘটায় ।
এ ঘটনায় আশিকুর রহমান বিশাল নামে এক যুবক ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বন্দুক মাসুম, ভাগিনা বাবু, কামরুল, আল-আমিন, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, জয়, শাহ আলম, রুবেল, মুরাদ, ইমামসহ অজ্ঞাতনামা ১০- ১২জন কে আসামি করেন। খবর পেয়ে রাতেই ফতুল্লা থানা পুলিশের একাধিক টিম পরিদর্শন করেন। তবে, হামলায় জড়িত কাউকে এখানো আটক করা হয়নি।
হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
যেখানে দেখা যায়, ফরিদ আহম্মেদ লিটনের ভাই বন্দুক মাসুম ও ভাগিনা বাবুর নেতৃত্বে ৮/১০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল হাতে দৌড়ে একটি বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ওই বাড়ির গেইটে আঘাত করছে। বন্দক মাসুম নিজে বাঁশ দিয়ে ওই বাড়ির গেইটে আঘাত করেন। সাদা গেঞ্জি পড়া এক যুবককে দেকা যায় পিস্তল হাতে এগিয়ে যেতে।
অভিযোগে ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান বিশাল বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফতুল্লার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা ও থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটনের ভাই বন্দুক মাসুম, তাদের ভাগিনা বাবু, বাবুর সহযোগি সন্ত্রাসী কামরুল, আল-আমিন, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, জয়, শাহ আলম, রুবেল, মুরাদ, ইমাম এবং অজ্ঞাতনামা ১০- ১২জন পিস্তল, ধারালো রামদা, চাপাটি, হকিস্টিক এবং লাঠিসোটা নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১টার দিকে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অন্তত ৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হওয়ায় আমি প্রাণে বেঁচে যাই। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় আমার বাসার সামনে থাকা বন্ধু আরিফের একটি পালসার এবং আরেক বন্ধু শফিকুলের ইয়ামাহা এফজেড মটর সাইকেল ভাংচুর করে এবং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে পুনরায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে চলে যায়। বন্দুক মাসুম এবং ভাগিনা বাবু এলাকা আধিপত্য বিস্তুারের লক্ষ্যে প্রায় সময়ই অস্ত্রের মহড়া দিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ আহমেদ লিটনের কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলে না।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ফতুল্লার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় এক নম্বরে আছেন বন্দুক মাসুম। বড় ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হওয়ায় সে কাউকে পরোয়া করে না। বন্দুক মাসুম এলাকায় বিশাল একটি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছেন। যাদের কাজ হচ্ছে মাদক ব্যবসা ও জমি দখল। সরকার দলের নেতার ভাই হওয়ায় মাসুমের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলে না। তার বিরুদ্ধে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। প্রশাসনও অজ্ঞাত কারনে এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। থানায় অভিযোগ পেয়েছি। একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। তবে তাদের হাতে পিস্তল ছিলো কিনা তা যাচাই বাছাই চলছে। এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।









Discussion about this post