শাসক দলের অংগ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নাম ব্যবহার করে এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির একাধিক নেতাদের সাথে সখ্যতা রেখে দীর্ঘদিন যাবত নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্রের প্রকাশ্য প্রদর্শন ও গুলিবর্ষণ করে ফতুল্লায় তান্ডবের রাম রাজত্ব তৈরি করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাসুম ও তার বাহিনী।
ধারাবাহিকভাবে এমন ঘটনার কারনে পুলিশের অসাধু সদস্যরা আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে ।
এমন উল্লেখিত ঘটনার ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ শিয়ারচর এলাকায় প্রতিপক্ষের উপর অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়ে তা ধামাচাপা দিতে মাদক সেবীদের সাথে নিয়ে মিছিলের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের শাসক দলের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টায় মশগুল হয়ে উঠে ওই অপরাধী চক্র।

এমন প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটনের ছোট ভাই মাসম ওরফে বন্দুক মাসুম। এরই মধ্যে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের বাদি ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান বিশালকে হুমকি দিয়ে থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহারও করা হয়েছে।
ফলে আইনগতভাবে এ ঘটনায় পুলিশ বন্দুক মাসুমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে প্রদর্শিত অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা আশা করছেন এলাকাবাসী।
এমন ঘটনায় ফতুল্লাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে ।
সূত্রমতে, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে দশটায় দক্ষিণ শিয়ারচর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান বিশালকে পেয়ে মারপিট করে বন্দুক মাসুম ও তার বাহিনীর সদস্যরা। রাত দেড়টায় পূণরায় বন্দুক মাসুম তার বাহিনী নিয়ে বিশালের বাড়িতে হামলা চালায়। যে হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, বন্দুক মাসুমের ভাগিনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বাবু ও সাদা গেঞ্জি ও লুঙ্গি পড়া এক যুবক অস্ত্র হাতে দৌড়ে যাচ্ছে।
হামলার ঘটনার পর ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান বিশাল ফতুল্লা মডেল থানায় বাদি হয়ে বন্দুক মাসুমসহ দশজনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, বন্দুক মাসুমের নেতৃত্বে অস্ত্র ও লাঠি-শোঠা নিয়ে সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা করে। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৮ রাউন্ড গুলিও ছুঁড়েছিল। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি বেঁচে যান।
এদিকে, আলোচিত এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশ এখনো প্রদর্শিত অস্ত্র উদ্ধারে কার্যকর কোন অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি। অস্ত্রের ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি মহল পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। যারা টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করেছে অভিযোগকারী আশিকুর রহমান বিশালের সাথে।
তবে এ ঘটনায় ফতুল্লা আওয়ামী লীগের বড় ক্ষতি হচ্ছে বলে অনেকেই সমালোচনা করে অনেকে বলেন এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে রক্ষা করতে কখনো শাসক দলের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য, সংসদ সদস্যের প্রভারশালী পুত্র, প্রভাবশালী ভাতিজা ছাড়াও পাতি নেতা, আধা নেতা, সিকি পর্যায়ের নেতাদের নাম ব্যবহার করার পাশাপাশি বিশেষ পেশার নামধারীদের মাধ্যেমে থানার অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে অর্থনৈতিক অবৈধ লেনলেন করে অস্ত্র প্রদর্শন ও গুলিবর্ষনের ঘটনা প্রতিবারের মতো এবারো ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয় ।
আর যদি শাসকদের নেতাদের শেল্টার ই না পায় তাহলে এমন অস্ত্রের ঝনঝনানি ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের ও ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার পরও শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের জনসভায় একজন এমন অপরাধী মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রদক্ষিণ করে কি করে ? পুলিশ আর নেতাদের চোখে কি পরে নাই অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মিছিল করতেছে ?
থানা পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে অনৈতিক সুবিধা বিয়ে অনেকের মুখ বন্দ করার পাশাপাশি ফতুল্লা থানা বিএনপির অনেক প্রভাবশালী নেতাদেরকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে কোন বক্তব্য না দেয়ার ব্যবস্থা করে ।









Discussion about this post