দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবি নোটিশ পেয়েও সংস্থাটিতে না যাওয়া এবং রেকর্ডপত্র সরবরাহ না করায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাসুম আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি।
অনেকেই বলেছেন বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাসুম আহমেদ এতটাই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার সাহস করেছেন স্থানীয় একটি পরিবারের তল্পিবাহন করার কারণে। ওই পরিবারের শেল্টারেই এই কুখ্যাত অপরাধী মাসুম এমন আচরণ করার সাহস করেছেন ।
রোববার (৮ অক্টোবর) দুদকের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় নারায়ণগঞ্জে এ মামলা করেন। আসামির বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ১৯(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজহারে বলা হয়, আসামি মাসুম আহমেদ অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রম বিষয়ে কমিশনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানসহ রেকর্ডপত্র সরবরাহ না করে দুদক আইনকে অবজ্ঞা করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনি কার্যক্রমে বাধা তথা সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯(৩) ধারা মোতাবেক শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন আসামি।
এতে আরও বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, দুটি ইটভাটার মালিকানা অর্জন এবং গভীর নলকূপ দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় সম্পর্কিত অভিযোগের বিষয়ে রেকর্ডপত্রসহ উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট দুদকের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে তলব করা হয়। আসামি ওই তারিখে কমিশনে উপস্থিত হয়ে রেকর্ডপত্রসহ তার বক্তব্য দেননি।
‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯(২) ধারায় ‘কমিশন, যে কোনো ব্যক্তিকে অনুসন্ধান বা তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশ দিতে পারে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত ব্যক্তি তার হেফাজতে রক্ষিত ওই তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবেন’ মর্মে বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী তথ্য/রেকর্ডপত্র সরবরাহ করা না হলে ওই আইনের ১৯(৩) ধারায় ‘কোনো কমিশনার বা কমিশন থেকে বৈধ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে উপধারা (১) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো ব্যক্তি বাধা দিলে বা উপ-ধারার অধীন প্রদত্ত কোনো নির্দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তি অমান্য করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হবে এবং ওই অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনূর্ধ্ব তিন বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন মর্মে বিধান রয়েছে।
আসামি নোটিশে বর্ণিত তারিখে বা পরবর্তী সময়ে কমিশনে উপস্থিত হয়ে এমনকি ডাকযোগে বা অন্য কোনো মাধ্যমেও রেকর্ডপত্রসহ তার বক্তব্য প্রদান/প্রেরণ করা থেকে বিরত থাকেন। তার এমন কার্যক্রম কমিশনের আইনকে অবজ্ঞা করার সামিল এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনি কার্যক্রমে বাধা তথা সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার সামিল বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।









Discussion about this post