আশি লাখ টাকায় পেষ্টিং নিয়ে শেষ রক্ষা হলো নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন তৈয়বের।
জেলায় বিভিন্ন সময় কর্মরত অবস্থায় নানা অপরাধের হোতা এই এমদাদ হোসেন তৈয়ব কে ক্লোজ করা হয়েছে আড়াইহাজার থানা থেকে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে বলেছেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী আড়াইহাজারে মাহমুদপুর ইউনিয়নের শালমদী নয়াপাড়া এলাকায় সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধে মোসলেম হাজী (৬০) নামে এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ঘটনাকে কেন্দ্র করে আড়াইহাজার থেকে প্রত্যাহার করা হয় ওসি আজিজ হাওলাদারকে । এরপর তড়িগড়ি করে নানাভাবে নারায়ণগঞ্জে বিতর্ক সৃষ্টিকারী কয়েকজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব আশি লাখ টাকা দিয়ে পোস্টিং নেন আড়াইহাজার থানায়। আশি লাখ টাকায় এমন পোষ্টিয়ের খবর ব্যাপক চাঞ্চ্যল্যের সৃষ্টি হয় সর্বত্র। এমন ঘটনায় পুলিশের একাধিক নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় । যার সকল প্রমাণ সংরক্ষনে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর দপ্তরে।
মোটা অংকের টাকায় আড়াইহাজার থানায় পোষ্টিং নেয়ার মাত্র নয় (৯) মাসের মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ে একজন ছাত্রলীগ নেতা কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করাসহ কয়েকটি লোমহর্ষক ঘটনায় হত্যাকারী ও অপরাধীদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ অপরাধীদের সাথে আঁতাত করায় এই ওসি এমদাদুল ইসলাম তৈয়বের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ উঠে উর্ধতন কর্মকর্তাদের দপ্তরে।
শেষ পর্যন্ত এতো অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার রাতে আড়াইহাজার থেকে ওসি এমদাদুল ইসলাম তৈয়ব কে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করার পাশাপাশি সোনারগাঁ থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আহসান উল্লাহকে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ।
জানা যায়, এর পূর্বে নারায়ণগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবৎ চাকরী করে নানা বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন ওসি তৈয়ব। বন্দরে নানা অপকর্ম, রূপগঞ্জে মন্ত্রীর ঘনিষ্টজনের অর্থ আত্মস্যাৎ সহ নানা অপকর্ম, ডিবির ইন্সপেক্টর থাকাকালে অসংখ্য বিতর্ক করে বিতারিত হন তিনি । আসেন ডিএসবিতে। এখানেও বিতর্ক । আড়াইহাজার থানায় যোগদান করতে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে ওসির দায়িত্ব নেন এই ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব । এরপর থানার মুন্সি থেকে শুরু করে প্রত্যেক দারোগাকে টার্গেট দেয়া হয় প্রতি মাসে কি পরিমাণ অর্থ দিতে হবে আড়াইহাজার থানায় চাকরীকালীন সময়ে । এমন বিস্তর অভিযোগ কয়েকজন কর্মকর্তা মুঠোফোনে আলাপকালে জানালেও এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাগণ নির্বাক। সবশেষ একজন ধর্ষিতাকে নিয়ে ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়বের কান্ডে তোলপাড় শুরু হয়েছে সর্বত্র । এরপরও থামানো যায় নাই ওসি তৈয়ব কে । ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারীকে হত্যার চেষ্টাকারীদের সাথেও কোটি টাকায় আঁতাত করেন তিনি।









Discussion about this post