‘এবার খেলা হবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে। এখন চলছে কোয়ার্টার ফাইনাল, সামনে সেমিফাইনাল, ফাইনাল হবে জানুয়ারিতে।’
এভাবেই বিএনপির নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে সোনারগাঁও থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা রাতে ৩ ঘণ্টা ঘুমান। এমন নেতা পাবেন? তিনি মানুষের জন্য দিন-রাত কাজ করছেন। নিজের জন্য তিনি দেশের বাইরে যান না। এমন পরিশ্রমী নেতা ’৭৫ সালের পর আর একজনও আসেনি।’
সামনে জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে বলেও আভাস দেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অচিরেই তেল, চাল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝবেন না। তার ওপর আস্থা রাখেন। তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন।’
নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভুল করবেন না। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এ নারায়ণগঞ্জকে অনেক দিয়েছেন। আশা করি নারায়ণগঞ্জবাসী এর প্রতিদান দেবেন। আগামীতে আরও দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন ঢাকাকে অচল করে দেবেন। আমরা বলতে চাই, দেশের মানুষই আগামীতে বিএনপিকে অচল করে দেবে। আগামীতে দেশের মানুষই বিএনপিকে অচল করে দেবে। এ নারায়ণগঞ্জই যথেষ্ট বিএনপিকে রুখে দিতে।’
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান নিখিলসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন আওয়ামী লীগের সময় শেষ কিন্তু প্রকৃত হলো বিএনপি ও ফখরুলদের সময় শেষ। আপনারা মাথা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিন্তা বাদ দেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে এখন ভূত হয়ে গেছে। এ ভূত মাথা থেকে নামান। এটা এখন কবরস্থানে শায়িত। নির্বাচনে আসনে। নাহলে সব হারাবেন।’
‘জো বাইডেনের দুটি সেলফিতে বিএনপি নেতাদের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারতে জি সম্মেলন ও আমেরিকাতে নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফিতে সব পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাই এখন বিএনপির জ্বালা। পদ্মা সেতু, চিটাগাংয়ে টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, একদিনে শতাধিক সেতু উদ্বোধনে বিএনপির অন্তর্জ্বালা হয়ে গেছে। বিএনপির সঙ্গে আর কোনো সমঝোতা চলবে না। তোমরা জনগণের শত্রু। জনগণের শত্রুর সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোনো সমঝোতা করবে না।’









Discussion about this post