‘বয়সে আমার অনেক বড়, আমার শাশুড়ির বন্ধু ৭৮ নাকি ৭৯ বছর বয়স। এ বুড়া বয়সে ধরা খেয়ে ২৩ বছরের মেয়ে বিয়ে করছেন একটা। বলে রাখলাম। পরে নাম ঠিকানা বলে দিব। ২৩ বছরের একটা মেয়ে বিয়ে করছেন খুন করেছেন ১৭টা।
শামীম ওসমানের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে এবার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন পাল্টা জবাব ছুড়েছেন।
এবার গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘আমি আমার পরিবার-পরিজনকে নিয়ে এক টেবিলে বসে মদপান করি না, সিগারেট খাই না। আমার সন্তানেরা চাঁদাবাজি, মাস্তানিও করে না। খুন-খারাবি করার পরে তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক অভিযুক্ত হওয়ার পর নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে বিচারের কাড়গড়া থেকে সন্তানদের রেহাই করার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করি না। আমরা সন্তানরা মানুষের জন্য রাজনীতি করে। আমি একজন যুদ্ধকালীন কমান্ডার। আমার মধ্যে যে দেশপ্রেম এবং দেশের কল্যাণে কাজ করার যে ব্রত তা আমার সন্তানরাও ধারণ করে। তাই আমার সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জবাসী যেমন ভালো করে জানে ঠিক তেমনি দেশবাসীও জানে। তার এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের কোনো প্রতিবাদ জানানোর রুচি নাই।’
তিনি বলেন, আমরা তো কোনো অবৈধ সম্পর্কে জীবনযাপন করি না যেভাবে তারা জীবনযাপন করে। আমার পরিবার ধর্মপরায়ন একটা পরিবার। ধর্ম কর্ম নিয়ে আমরা চলি। মান ইজ্জত নিয়ে আমরা চলি।
এর আগে ১২ অক্টোবর বিকেলে নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গিয়াসউদ্দিনকে ইঙ্গিত করে তাঁর একটি বিয়ের খবর প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান বলেছেন, ‘বয়সে আমার অনেক বড়, আমার শাশুড়ির বন্ধু ৭৮ নাকি ৭৯ বছর বয়স। এ বুড়া বয়সে ধরা খেয়ে ২৩ বছরের মেয়ে বিয়ে করছেন একটা। বলে রাখলাম। পরে নাম ঠিকানা বলে দিব। ২৩ বছরের একটা মেয়ে বিয়ে করছেন খুন করেছেন ১৭টা। করেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। আপনার বউয়ের নামও আমি বলতে পারবো। কোন এলাকাতে থাকেন এখন সেটাও বলতে পারবো। ভাববেন না আপনারা কোথায় থাকেন এটা জানি না। পুলিশ আপনাদের ধরে না দেখে ভাববেন আমরা জানি না। কিন্তু আমরা সব জানি। প্রতিহিংসা চাই না। মানুষের মনে থাকতে চাই। রাজনীতিটা নষ্ট কইরেন না। একসাথে থাকতে দেন। ছেলেদের রাস্তায় নামিয়ে এমন কিছু করবেন না যাতে মামলা খেয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়।









Discussion about this post