‘চোরে না শুনে ধর্মের বাণী !’ এমন অসংখ্য প্রবাদের জ্বলন্ত উদাহরণ ফতুল্লার কুখ্যাত ডাকাত গেসু ও তার পরিবার।
বিএনপি শাশনামলে জাকির খানের বড় ভাই কবির খানকে নিজ বাড়ি কাশিপুরে নানাভাবে নানা উপহার দিয়ে তুষ্ট করে গিয়াস ও তার পরিবার সকল ধরনের অপকর্ম চালিয়ে শত শত কোটি টাকা মালিক বনে যায়।
নানা অপকর্মের পর অঢেল সম্পত্তি ও টাকার মালিক হয়েও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কোন পরিবর্তন ঘটায় নাই এই পরিবার টি । ২০০১ এ আওয়ামী লীগ পরাজয়ের পর শামীম ওসমান পালিয়ে গেলে তৎকালীন সময়ে ই আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উল্লাহ বাদলকে বিএনপির রোষানল থেকে রক্ষা করতে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে কবির খানের মতো একই জায়দায় মদ নারীসহ নানা উপঠৌকনে তুষ্ট করে নিজের অবস্থান দৃঢ় করে ।
২০০৯ সালে ফের আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এবার সেই চোরা গেসু ওরফে ডাকাত গেসু ও তার পরিবারকে আর ঠেকানো যায় নাই ।
আওয়ামী লীগ সরকারের এই ১৫ বছবের শাসনামলের সব সময় এমপি শামীম ওসমান, এমপি সেলিম ওসমান, প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমান ও শামীম পুত্র অয়ন ওসমানের নাম ব্যবহার এবং রাইফেল ক্লাবের সেই কুখ্যাত রাজাকারপুত্র কাজলের নাম ব্যবহার করে ভূমিদস্যুতা, গ্যাস চুরি, বিদ্যুৎ চুরি, ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজিসহ সকল অপরাধ যেন নিত্যকার কর্মকাণ্ডে পরিনত হয়েছে ।
অতি সম্প্রতি সেই গিয়াস পুত্র সেই আজমীর ওসমানের নাম ব্যবহার করে সদর উপজেলার বক্তাবলীর চররাজাপুরের ব্যবসায়ী আলমাস দেওয়ানের মিল দখল করে নিয়েছে ডাকাত গিয়াসউদ্দিন এর পুত্র সুমন এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা ।
আশির দশকে সেই চোরা গেসু ওরফে ডাকাত গেসু ওরফে গিয়াস উদ্দিনের বোন নূরজাহান কে পেটের দায়ে টানবাজার পতিতাপল্লীতে আশ্রয় নিলেও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের পর নুরহাজানকে বাড়ি ফিরিয়ে নিলেও অপরাধ সাম্রাজ্য বন্ধ না করে বিরামহীনভাবে অব্যাহত রেখেছে তাদের কর্মকাণ্ড ।
এবার সেই গেসু আরেক পুত্র শ্যামলের বিরুদ্ধে একজন ব্যক্তিকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিতে দেখা গেছে।
এ সম্পর্কিত একাধিক ভিডিও এসেছে এ প্রতিবেদকের হাতে।
সেখানে দেখা গেছে এক ব্যক্তির সঙ্গে একটি বাড়িতে বসে আলোচনার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন শ্যামল। পরে তিনি পকেটে থাকা একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ওই ব্যক্তিকে আঘাত করে। এতে তার বুকে জখম হয়। শ্যামল পরে ওই অস্ত্র দিয়ে ব্যক্তিকে মারতে মারতে নিচে ফেলে দেয়। প্রায় কয়েক মিনিট ধরে ওই হামলা।
এ ব্যাপারে আক্রান্ত ব্যক্তি জানায়, শ্যামলের বোন জামাতার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। পরে শ্যামল ওই বাড়িতে ঢুকে লোকজনদের উপর চড়াও হন।
এ ব্যাপারের শ্যামলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি, ব্যস্ততার অজুহাত কথা বলতে রাজী হয়নি। তিনি শুধু দাবী করেন ঘটনা সত্য না। পরে রাতে আর তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগেও শ্যামলের বিরুদ্ধে চাঁদাবজি ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ উঠে। ফতুল্লা থানা কাশিপুরইউনিয়নের উত্তর নরসিংপুর এলাকার আয়শা বেবী কাজল নামের এক মহিলার কাছে চাঁদা দাবি করে শ্যামল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মহিলা ছেলেকে গুম করারও হুমকী দেয় সে।
ভুক্তভোগী আয়শা বেবী কাজল বাদি হয়ে তখন ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
শ্যামল এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। শ্যামলের বাবা ফতুল্লা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হওয়ায় এলাকায় নানা অপকর্ম করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই।
এমন ঘটনায় কাশিপুরের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে কি কাঠের চশমা পরে থাকেন ! আমাদের নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কি এমন অপরাধীদের খোজ রাখেন না ? এতো অপরাধের পর কি বলবেন আর করবেন পুলিশ সুপার ?









Discussion about this post