এবার সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দেওভোগ এলাকায় এক ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে হামলাকারীরা ৷
কৃষ্ণ সেন (৩২) নামের এই ছিনতাইকারীকে ঘেরাও করে হত্যার পর উচ্ছাস প্রকাশ করেছে হামলাকারীদের অনেকে।
ঘটনাটি শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৯টায়। ফতুল্লা থানার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার সাবেক মেম্বার খোকনের বাড়ির সামনের সড়কে এমন ঘটনার পর ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ফতুল্লা থানার পুলিশ নিহত কৃঞ্চের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এরপুর্বে গত ২৩ নভেম্বর (বুধবার) দিবাগত মধ্যরাত নগরীর নিতাইগঞ্জে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে হাবু নামের এক চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করে হামলাকারীরা ।
এমন একের এক ঘটনায় নগরীর অনেকেই বলেন, কমপক্ষে এই নগরীতে প্রায় একশত ছিনতাইকারী প্রকাশ্যে পুরো সদর উপজেলায় পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অপরাধ সাম্রাজ্য চালিয়ে আসায় অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ন্যাক্কারজনক এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে।
নিহত কৃষ্ণা ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার শ্রী চন্দ্র সেনের পুত্র।
প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত কৃষ্ণাসহ অপর দুই ছিনতাইকারী এক পথচারীর নিকট থেকে ছিনতাই করার সময় ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয় পথচারী ও এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে। এ সময় তাদের কে ধাওয়া করলে এলাকাবাসী ও পথচারীরা ধাওয়া করে ছিনতাকারী
কৃষ্ণা কে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবে অপর দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানায়, নিহত কৃষ্ণা একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। শনিবার রাতে সে সহ অপর দুই ছিনতাইকারী ছিনতাইকালে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ধাওয়া করে কৃষ্ণা কে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। অপর দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। নিহত কৃষ্ণার নামে ফতুল্লা মডেল থানয় প্রায় আটটি মামলা রয়েছে।









Discussion about this post