এবার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হারেজের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২৪ নভেম্বর এ মামলা দায়ের করেন হারেজের স্ত্রী যেকরিয়া বেগম। মামলার আসামীরা হলেন ব্রাহ্মণখালী এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে বেলায়েত হোসেন, ভক্তবাড়ি এলাকার জাহের আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম, জাহের আলী, আলী হোসেন, আনিসুল ইসলাম, আব্দুল মতিন, রফিকুল ইসলাম, পিতলগঞ্জের মানিক আহমেদ, হাবিবনগরের কামাল হোসেন।
গত ২০ নভেম্বর বেলা ১২ টার দিকে ভক্তবাড়ি মসজিদের পাশে রাস্তায় আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হারেজ উপস্থিত হইলে আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় হারেজের প্যারোডা গাড়ি ভাংচুর করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং গাড়িতে থাকা নগদ ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। হারেজকে বাঁচাতে জিয়ারুল ও আবু সাইদ এগিয়ে আসলে তাদেরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আসামীরা।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে হারেজের ।
মামলা সুত্রে আরও জানা গেছে আহতদের হয়রানী করার লক্ষ্যে আসামীরা বেলায়েত হোসেন এর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে হারেজ ও তার আত্মীয়দের দোষারোপ করছে। আগুনের ঘটনায় একজন মারা গেছে।
এ আগুন লাগার আগে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হারেজের উপর হামলা করে আসামিরা তাকে কুপিয়ে জখম করে।
ঘটনার বিবরণে আরো জানা যায়, গত সোমবার ২১ নভেম্বর সকালে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধের ধরে হাবিবুর রহমান হরেজের ছেলে মো. জুয়েল দেশি অস্ত্রসহ কয়েকজন লোক নিয়ে বিউটি বেগমের বাড়িতে হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে তাঁরা বিউটি বেগমের বাড়িঘর ভাঙচুর করে তাঁর ঘরের দরজায় পেট্রোল দিয়ে আগুন দেন। আগুন ঘরের পাশে থাকা রান্নাঘরে ছড়িয়ে পড়লে বিউটি বেগম দগ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিউটি বেগমের মেয়ে শিমু আক্তারের হাত ঝলসে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এসে বিউটি বেগম ও শিমু আক্তারকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিউটি আক্তারকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সোমবার রাতে বিউটি বেগমের তাঁর মৃত্যু হয়।
এমন ঘটনা মামলা দায়ের হলেও পুলিশ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পেট্রোল ঢেলে আগুণ দিয়ে বিউটি বেগমের হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে উল্টো নাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ নিহতের পরিবারের লোকজন হাবিবুর রহমান হারেজকে দেখতে পেয়ে তার গাড়ির উপর হাশলা চালায়। একই সাথে হাবিবুর রহমান হারেজ গাড়ি তেকে নেমে আসার পর তার উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। একদিকে বিউটি বেগমকে পেট্রেলের আগুণ দিয়ে হত্যা মামলা অপরদিকে হাবিবুর রহমান হারেজের উপর হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের মামলায় রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ‘শাঁখের করাত’ এর মতো অসাধু পন্থা গ্রহণ করে ফায়দা হাসিল কর যাচ্ছে।









Discussion about this post