সোনারগাঁওয়ে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে কবুতর দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আব্দুল বারেক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ভূক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়েরের পর মেঘনা ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর আব্দুল বারেক মিয়াকে নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে কবুতর দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্তের বাসায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
ভূক্তভোগী ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল বারেক ভোলা সদর উপজেলার উত্তর ভেদুরিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
ভূক্তভোগী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে।
সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার এজহার থেকে জানা যায়, উপজেলার প্রতাপের চর গ্রামের আলী আকবর মেম্বারের বাড়ির তৃতীয় তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার ও অভিযুক্ত আব্দুল বারেক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পাশাপাশি বসবাস করে আসছে।
গত শুক্রবার বিকেলে অভিযুক্ত আব্দুল বারেকের বাড়িতে কেউ না থাকায় ফাঁকা পেয়ে ওই ছাত্রীকে কবুতর দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণে ওই ছাত্রীর রক্তক্ষরণ হলে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে অবগত করে। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের অবগত করে শনিবার সকালে ছাত্রীর মা আসমা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ মেঘনা ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের ঘটনায় বৃদ্ধ আব্দুল বারেক মিয়া নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, আমি শয়তানের ধোকায় এমন কাজ করেছি।
সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) পঙ্কজ কান্তি সরকার সোনারগাঁও নিউজকে জানান, মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।








Discussion about this post