তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার পিটিয়ে সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম (৪৫) কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সোনারগাঁয়ে সামসু চেয়ারম্যানের উকিল মেয়ের জামাতা নিহত এই নজরুল ইসলাম ।
নিহতের পিতার মৃত সুবেদ আলী ভূইয়া, বাড়ী চর নোয়াগাওঁ, সোনারগাঁয়।
২৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সোনারগাঁয়ের মাঝের চর বাসস্ট্যান্ডে নির্মম এই ঘটনা ঘটে ।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে ।
নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার জানান, তার স্বামী নজরুল ইসলাম রূপগঞ্জের ভূলতা গাউছিয়া এলাকায় ব্যবসায়ের কাজে যাচ্ছিলেন। পথে জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর বাসস্ট্যান্ডে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। দীর্ঘসময় কোনো যাত্রী না ওঠার কারণে তিনি অটোরিকশা থেকে নেমে বিকল্প পথে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অটোরিকশা থেকে নেমে যাওয়ার সময় অটোরিকশার লাইনম্যান জাকির হোসেন ও অটোচালকের সঙ্গে তর্কবিতর্ক ও ধ্বস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে লাইনম্যান জাকির ও দাইয়ানের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।
এসময় জাকির ও দাইয়ানের সঙ্গে স্ট্যান্ডের অন্যান্য অটোচালকরা তাকে কিল-ঘুসি মারেন। তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার আসমা আক্তারের। স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
নোয়াগাঁও ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোবারক হোসেন বলেন, ‘নজরুল ইসলাম ধন্ধি বাজারে রড ও স্টিলের ব্যবসা করতেন। তিনি রাজনীতি করলেও নিরীহ প্রকৃতির ছিলেন। তার এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম সামসু বলেন, ‘যুবলীগ নেতার এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। তুচ্ছ ঘটনায় এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।









Discussion about this post