রূপগঞ্জে তোলপাড় করা সেই পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে ৯ বছরে শিশু সাগর বর্মনকে হত্যার ঘটনায় তিন যুবককে ৩ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
যে ঘটনায় রূপগঞ্জের দানশীল পরিচয় দানকারী লায়ন মোজাম্মেল হক ও তার পরিবারের সদস্যরা কম বেতন দিয়ে শিশু শ্রমিকের মাধ্যমে নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলো দীর্ঘদিন যাবৎ।
২০১৬ সালের ২৪ জুলাই শিশু সাগর বর্মনকে এমন পায়ুপথে বায়ু ডুকিয়ে হত্যার পর রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন এজাহারে বাদীর অভিযোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, জোবেদা টেক্সটাইলের মালিক মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, মাজহারুল হক ভূঁইয়া, আজহারুল হক ভূঁইয়া, জাফর হোসেন ভূঁইয়া শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কম বেতনে কারখানায় উৎপাদন কাজ করাতেন।
এমন মন্তব্যের পরও এই আসামীসহ অন্যান্য প্রভাবশালীদের নাম বাদ দিয়ে অভিযোগ গ্রহণের পর সমালোচনার ঝড় উঠে পুরো নগরীজুড়ে।
তোলপাড় করা ওই শিশু সাগর বর্মন হত্যার ৮ বছর পর মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কিশোরগঞ্জের তাড়াইল দড়িজাহাঙ্গীরপুর এলাকার রিটনের ছেলে রাকিব (২০), করিমগঞ্জের গুজাইদা লামাপাড়া এলাকার হক মিয়ার ছেলে মো. আকাশ (২০) ও নরসিংদীর কাজীকান্দী এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে মো. সোহেল (২১)।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আবদুর রশিদ বলেন, রূপগঞ্জ থানার করা এক শিশু হত্যা মামলায় আদালত তিনজনকে সাড়ে তিন বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময়ে আসািমিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রকিবুদ্দিন আহমেদ রকিব বলেন, ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া জবেদা টেক্সটাইলে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি রাজিবপুর গ্রামের রতন বর্মণের ছেলে সাগর বর্মণকে হত্যা করে। নিহত শিশু সাগর ওই কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।
তিনি আরও বলেন, সাগরকে প্রায় সময়ই শিশু আসামিরা গালিগালাজ করতেন। বিভিন্ন সময় এর প্রতিবাদ করতো সাগর। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সাগরের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় নিহত শিশুর বাবা রতন বর্মণ মামলা করেন। সেই মামলায় বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।
নির্ভরশীল সূত্রের সহায়তায় খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ রায় ঘোষণার পর জোবেদা টেক্সটাইলের মালিক নানা কারণে ব্যাপক সমালোচিত মোজাম্মেল হক ও তার সহযোগিরা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন। সকলেই নিজস্ব আলোচনায় বলেন, আদালতেও শিশুশ্রম নিয়ে কোন দিক নির্দেশনাও দেয় নাই। যা স্বস্তির বিষয় ।









Discussion about this post