প্রাচ্যের ড্যান্ডিখ্যাত বাণিজ্যিক অঞ্চল নারায়ণগঞ্জে সচল হয়েছে প্রায় সবধরনের শিল্প-কারখানা।
আজ বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে জেলার প্রায় শিল্প-কারখানায় ফিরেছেন শ্রমিকরা। কর্মস্থানে যোগ দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
অসংখ্য কারখানা শ্রমিক-মালিকরা জানান, সাধারণ মানুষ কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চায় না। তারা স্বস্তি চায়। মানুষ যাতে স্বাভাবিকভাবে ঘর থেকে বের হয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারে সেটি নিশ্চয়তা চায়। জ্বালাও-পোড়াও, সম্পদ ধ্বংস করা সন্ত্রাসীর কাজ। যারা এসব কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এর আগে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে দুর্বৃত্তদের তাণ্ডবে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। রাতে দুষ্কৃতকারীরা পাসপোর্ট অফিসে অগ্নিসংযোগ, এসবি গার্মেন্টসে অগ্নিসংযোগ, বিজিবি ক্যাম্প, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, হাইওয়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জে কারফিউ জারি করে সরকার। সেই সঙ্গে নামানো হয় সেনা বাহিনী। এতে অনেকটাই ঘরবন্দি হয়ে পড়ে মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে খুব একটা বের হননি। তবে সেনাবাহিনী রাস্তায় নামার পর অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ফলে শিথিল করা হয়েছে কারফিউ ।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ সভাপতি (অর্থ) মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল বলেন, সব কারখানা খোলা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের বিকেএমইএ থেকে বলা হয়েছে শিথিল সময়টাতে কারখানা খোলা রাখার জন্য। আমাদের শ্রমিকরাও এসে তাদের কর্মস্থানে যোগদান করেছেন।
সোহেল ছাড়াও ফতুল্লার বিসিক এলাকার এসরোট্যাক্স গ্রুপের ডাইং ম্যানেজার উবায়দুল বলেন, এ কয়দিন কর্মস্থলে আসতে পারিনি। শ্রমিকরা কর্মস্থানে আসতে পারিনি। একদিন আমাদের কারখানা বন্ধ থাকলে সংসারে অনেক চাপ পড়ে যায়। যাই হোক আবার কারখানা খোলা হয়েছে। আমরা আবারও আমাদের কর্মস্থানে ফিরেছি। এটা আমাদের ঈদের মতো আনন্দ।
ফতুল্লার বুনবক্স অ্যাপারেলসের প্রোপ্রাইটার আক্তার হোসেন অপূর্ব গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সবসময় নির্ভেজাল ব্যবসা করে যেতে চাই। দরকার স্থিতিশীল পরিবেশ। আমরা চাই আমাদের প্রোডাকশন যেন অব্যাহত রাখতে পারি। আমাদের পোডাকশন অব্যাহত থাকলে দেশের অর্থনীতি উন্নতি হবে।









Discussion about this post