ষ্টাফ রির্পোটার
ফতুল্লা মডেল থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং মেম্বার ও নব্য বিএনপি ক্যাডার আব্দুর রশিদ ওরফে রশিদ মেম্বার ও তার সহযোগী কর্তৃক বিভিন্ন হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছে অনেকেই ।
এমনকি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী রশিদ মেম্বার যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের নেতাকর্মী বনে গিয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে।
এর আগে সে আওয়ামী লীগের নেতা বনে গিয়ে শামীম ওসমান, শওকত আলীর বিভিন্ন সভা সমাবেশে লোকবল নিয়ে অংশগ্রহন করলেও গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতার অভ্যুত্থানে বাধ্য হয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এই সুযোগে অত্যন্ত চতুর রশিদ মেম্বার রাতারাতি ভূল পাল্টে বক্তাবলী ইউনিয়নের কতিপয় ছেঁচড়া বিএনপির নামধারী নেতাদের ম্যানেজ করে বিএনপির বড় মাপের কর্মী বলে যায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হতে সুবিধাবাদী রশিদ মেম্বার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ি দখল, ভাংচুর, লুটপাটে মেতে ওঠে রশিদ মেম্বার ও তার সহযোগীরা। এমনকি বক্তাবলীর ছেঁচড়া প্রকৃতির কিছু বিএনপি নেতাদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ দখল করতে যায় ।
একটি সূত্র হতে জানা যায়, বক্তাবলী ফেরিঘাট টি দখল করে নিয়েছেন রশিদ নাম্বার, এছাড়াও সাইদুর রহমানের মৎস্য খামার দখল করে দেড় কোটি টাকার মাছ বিক্রি করা,লুটপাট সহ দুই কোটি টাকা মালামাল হাতিয়ে নেন রশিদ মেম্বার, গোপালনগর হারুনের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায় তার সহযোগীরা।এছাড়াও জামালের গ্যারেজে রাখা ৫০টি মিশুক ও অটো রিকশা ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। সলিমের কনফেকশনারী ও টিভি ফ্রিজের দোকান ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। জাহেরের ফার্নিচারের দোকানে লুটপাট চালায়, সোহাগের মুরগীর খামার হতে মুরগি লুটপাট করে নিয়ে যায়,বাদলের বাড়ি লুটপাট ভাংচুর চালায়, শাকিল এর বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট চালায়। কাউসারের মুদির দোকান ভাংচুর লুটপাট করে। টিপুর গরুর খামার হতে দুটি গরু জোরপূর্বক নিয়ে যায় পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে গরুর দুটি ফেরত দিলেও টিপুর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নগদ হাতিয়ে নেয়। সালাউদ্দিনের বাড়িঘরও ভাংচুর করে। এদের অনেকে রশিদ মেম্বারের আতংকে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, রশিদ মেম্বার এতদিন আওয়ামী লীগ করে আসলেও রাতারাতি ভুল পাল্টে বর্তমানে বিএনপি’র নেতাকর্মী বনে গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। এতে করে বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসী রশিদ মেম্বার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে রশিদ মেম্বার মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মিথ্যে । আর আমি যদি বিএনপি না করতাম তা-ই লে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এতোগুলি মামলা খাইলাম কেমনে। আর এই ব্যানার ফেস্টুন গেইট ও চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের নেতারদের সাথে যে ছবি তা চেয়ারম্যানের নির্দেশমতো করেছি ।
এমন ঘটনায় বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হাসান আলী মুঠোফোনের দুটি নাম্বারে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোন বন্দ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।









Discussion about this post