ওসমান পরিবারের প্রকাশ্য শেল্টারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আবদুল করিম বাবু ওরফে মাউরা বাবুর কারণে যেমন এলাকাবাসী তেমনি নিজ পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে জিম্মি ছিলো দীর্ঘদিন। নানাভাবে নির্যাতনের পর এবার নগরীর অনেকেই সেই মাউরা বাবুর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর পিস্তল নিয়ে গুলিবর্ষণের ছবি সম্বলিত পোস্টারের ছেয়ে গেছে নগরী।
অভিযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবু নিতাইগঞ্জসহ নগরীর সর্বত্র চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, নারী কেলেংকরী, জুয়া, মাদক সেবন ও ব্যবসা, টর্চার সেল ও অস্ত্র হাতে নিয়ে মহড়া দিয়ে আতংকের নগরীতে পরিণত করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়ার।
একই সাথে পুরো নারায়ণগঞ্জে ডিস ব্যবসায়ী ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের ডেকে নিয়ে শামীূম ওসমান ও তার পুত্র অয়ন ওসমানের দোহাই দিয়ে রামরাজত্ব চারিয়ে আসছিলো এই আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবু তা তার বাহিনী।
এমন অসংখ্য অভিযোগ ছাড়াও এবার তথ্য প্রমান ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্রহাতে বাবুর ছবিও হয়েছে ভাইরাল।
নারায়ণগঞ্জে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গুলিতে নিহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি বাবু।
অবিলম্বে বাবু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়ে ও তার বিচার চেয়ে শহরে পোস্টার লাগানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই পোস্টার দেখা গেছে।
এসময় পোস্টারে বাবুর একাধিক ছবি দেখা গেছে। এসকল ছবিতে অস্ত্র হাতে নিয়ে মহড়া ও ছাত্র জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে বাবুকে।
এসময় এলাকাবাসী অবিলম্বে বাবুকে কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ করার পাশাপাশি তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায় এলাকাবাসী।
দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী লীগের এই নেতার বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা, অর্থ আত্মসাৎ, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ ছিল। তবে এতদিন বাবুর দাপটে মুখ খুলতে সাহস পায়নি এলাকাবাসী। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন বাবু ও তার পরিবার ।









Discussion about this post