রূপগঞ্জের গাজী টায়ারস কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উদ্ধার অভিযান চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
আগুন লাগার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার খবর দেয় ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) লে. কর্নেল রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের সাত ইউনিট ভবনটির আগুনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছে। আগুনে পুড়ে পুরো ভবনটির অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখনো ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
এদিকে সকাল থেকেই নিখোঁজদের স্বজনরা কারখানার ভেতরে ও বাইরে এসে ভিড় জমাতে থাকে। নিখোঁজদের উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা ।
দেশের অন্যতম বড় এ টায়ার কারখানার আগুনে এখন পর্যন্ত ১৭৪ জন নিখোঁজের দাবি স্বজনরা জানিয়েছেন বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে ১০ টারদিকে গাজী টায়ারস কারখানায় কয়েকশ লোক প্রবেশ করে লুটপাট শুরু করে। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ভবনটির নিচ তলায় আগুন ধরিয়ে দেন।
মুহূর্তে আগুন পুরো ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ডেমরা, আদমজী ইপিজেড, আড়াইহাজার, নরসিংদী, কাঞ্চন, হাজীগঞ্জ, ঢাকার সিদ্দিকবাজার ফায়ার সার্ভিসের ১২টি প্রায় ২১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অসংখ্য গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কারখানাটির মালিক আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী৷ রোববার ভোররাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগের এ নেতা৷
‘গ্রেপ্তারের খবর তার নির্বাচনী এলাকা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ৷ দুপুরের দিকে টায়ার প্রস্তুতকারী কারখানাটির অদূরে একটি মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করা হয় । এ ঘোষণার পর কয়েকশ মানুষ জড়ো হন কারখানাটির সামনে, শুরু হয় লুটপাট,’ উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসে সহকারী পরিচালক মানিকুজ্জামান জানান, আগুন দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে ভবনটি একেবারে অকেজো হয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ধোয়া ও তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনে প্রবেশ করতে পারছে না।
‘তারা পানি নিয়ে তাপ নিয়ন্ত্রণ ও ধোঁয়া কমিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাপ নিয়ন্ত্রণ ও ধোঁয়া কমে গেলে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে,’ বলেন তিনি।









Discussion about this post