বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষনকারী অয়ন ওসমানের অনুসারী ছাত্রলীগের স্থানীয় ছিচকে ক্যাডার যমজ দুই ভাই রাজিব সজিব অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার করলেও এখনও রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে।
সিদ্ধিরগঞ্জের আইলপাড়া এলাকার সরকার বাড়ির এই দুই ভাই এলাকায় মাদক, চুরি-ছিনতাই, ভূমিদস্যুতা, জবর দখল সহ অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়া গড়ে তুলেছিল স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের আমলে। নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ গডফাদার শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের আশকারায় রাজিব সজিব স্থানীয় এলাকার অন্য ব্যবসায়ীর ওয়াই ফাই ব্যবসা জোর পূর্বক লুটে নিয়েছিল। করেছিল এলাকার মানুষকে জিম্মি।
সরকার পতনের ছাত্র আন্দোলনে অয়ন ওসমানের সহযোগি হিসেবে ছাত্র জনতার উপর হামলা ও গুলিবর্ষনের সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল এই দুই সন্ত্রাসী যমজ ভাই।
জানা যায়, গোদনাইল ৮নং ওয়ার্ডের পুরাতন আইলপাড়া এলাকার মাদকের গডফাদার যুব লীগের অস্ত্রধারী ক্যাডার শাহজাহানের সৎ ভাই রাজিব ও সজিব এলাকায় এক আতংকের নাম। ইভটিজিং সহ কিশোর গ্যাংয়ের লিডার হিসেবে পরিচিত এই যমজ ভাইদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই হামলা মামলা সহ জীবন নাশের হুমকী দিয়ে মানুষের জনজীবন করেছিল বিপন্ন। নতুন আইলপাড়া এলাকায় ছাত্র লীগের অফিস করে বানিয়েছিল টর্চার সেল।
আর পুরাতন আইলপাড়ার জেলেপাড়া পুলে আরেকটি ছাত্র লীগ ও যুব লীগের অফিস বানিয়ে স্থানীয় শিল্পকারখানা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতো। নতুন বাড়ি ঘর করতে হলে চাঁদা দিয়ে কাজ করতে হতো এই দুই যমজ ভাইকে।
শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমানের আশির্বাদ ছাড়াও স্থানীয় চিহ্নিত অপরাধী চক্রের মদদে এলাকায় মাদক বিক্রেতাদের আখড়ায় পরিনত করেছিল নামধারী ছিচকে সন্ত্রাসী রাজিব ও সজিব। দেখতে হুবহু একই রকম চেহারা হওয়ায় মানুষও দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যেত। তবে হুন্ডা বাহিনীর লিডার হিসেবেও তাদের পরিচিতি কম ছিল না। ছাত্র জনতার আন্দোলনে অমানবিক ভাবে ছাত্রদের উপর হামলা ও গুলি করে আহত এবং নিহত করলেও এখনো পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা মোকদ্দমায় নাম আসেনি। বরং বহাল তবিয়তে থেকে এখনো হুন্ডার মহড়া দিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করছে।
এলাকার রাজনৈতিক শেল্টারে থেকে এ ধরনের কর্মকান্ড কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেনা গোদনাইলবাসী। অয়ন ওসমান দেশ ছেড়ে পালালেও রাজিব সজিব এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় শংকিত হয়ে পড়েছে জনসাধারণ।
তাই অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে তাদের কাছে থাকা সেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে এলাকাবাসীর মাঝ স্বস্তি ফিরিয়ে আনার দাবী উঠেছে । তাদের কাছে থাকা অস্ত্র দেখে এখনো এলাকায় আতংক বিরাজ করছে বলেও জানায় অনেকেই । যে কোন সময় অঘটন ঘটতে পারে বলেও জোড় গুঞ্জন রয়েছে ।









Discussion about this post